চৌদ্দগ্রামে কোটি টাকা ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে ১৩ লাখ টাকা নিয়ে উধাও
- চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
- ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০৫
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় মনসুর হায়দার ভুঁইয়া স্বপন নামে এক পোলট্র্রি ব্যবসায়ীকে কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৩ লাখ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মনসুর। তিনি উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের সাঙ্গিশ^র গ্রামের মৃত ইউসুফ ভূঁইয়ার ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মনসুর হায়দার বলেন, ব্যবসা মন্দা যাওয়ায় এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার চেষ্টা করছিলেন। এমন সময় পরিচয় হয় আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামের মফিজুর রহমান সরকারের ছেলে মহিম উদ্দিনের সাথে। তিনি নিজেকে সোনালী ব্যাংক চৌদ্দগ্রাম শাখার কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। মনসুরকে এক কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ পাইয়ে দেয়ার বিপরীতে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানান। এতে রাজি হন মনসুর। কাগজপত্র তৈরির কথা বলে মহিম ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৩০০ টাকা হাতিয়ে নেন। ঋণের গ্যারান্টি সোনালী ব্যাংকের একটি চেক ও অলিখিত দু’টি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। এর কিছুদিন পরে মহিম মনসুরের ইমোতে সোনালী ব্যাংকের একটি কাটাছেঁড়া চেকে এক কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে মর্মে লিখিত একটি চেক পাঠায় এবং বাকি আরো দুই লাখ টাকা চেয়ে বসে। চেকের বিষয়টি মনসুরের সন্দেহ হলে মোবাইলে মহিমকে প্রশ্ন করলে তিনি মোবাইল বন্ধ করে দেন।
এরপর থেকে মহিমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো তার বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার ও খালি স্ট্যাম্পে টাকা পাওয়ার দাবি করে আদালতে মামলা করে হয়রানি করে আসছে। তিনি মহিমের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মনসুররে চাচা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, স্ত্রী তাসলিমা বেগম, বোন নাজনিন আক্তার, প্রতিবেশী আজিম উদ্দিন ভূঁইয়া, ফরিদ উদ্দিন ও আবদুল কাইয়ুম ভূঁইয়া।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক চৌদ্দগ্রাম শাখার ব্যবস্থাপক জহুর আহমেদ বলেন, মহিম উদ্দিন নামে আমাদের শাখায় কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী নেই। বিগত পাঁচ বছরে এ শাখা থেকে একসাথে এক কোটি টাকার কোনো ঋণ অনুমোদন হয়নি। ক্ষ বিল পরিশোধের কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
ভাণ্ডারিয়া ওজোপাডিকোর আবাসিক প্রকৌশলী রিয়াদ হোসেন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিল বকেয়া থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাদের কাছে ২১ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে, যা পরিশোধের জন্য এর আগেও বেশ কয়েকবার নোটিশ করা হয়েছে। তারা উদ্যোগ নেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধের নিশ্চয়তা দিলে আমরা সংযোগ পুনঃস্থাপন করে দিবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: বর্ণালী দেবনাথ বলেন, বরাদ্দ না আসায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুৎ না থাকায় রোগীরা গরমে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় এক্সরে ও প্যাথলজিসহ সব কাজ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া শিশুদের জন্য রক্ষিত সরকারি ভ্যাকসিন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা