ছাতকে কয়েক লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী
- ছাতক (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০৫
টানা বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী হয়ে আছে।
উপজেলার দোলারবাজার-শরিষপুর ভায়া-ছৈলা সড়ক, কৈতক-হায়দরপুর সড়ক, আছাকাচর-শ্রীপুর সড়ক, জোড়াপানি-শারপিন নগর সড়ক, ফকির টিলা-নরসিংপুর সড়ক, ইসলামপুর-নোয়াকোট সড়ক, শ্যামপাড়া-কান্দিগাঁও সড়ক, নোয়ারাই-বালিউরা সড়ক, ছাতক জাউয়াবাজার সড়ক ছাড়াও অনেকগুলো পাকা যোগাযোগ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে কিংবা তলিয়া যাবার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
উপজেলার ইসলামপুর, উত্তরখুরমা, কালারুকা চরমহল্লা জাউয়াবাজার ও সিংচাপইড় ইউনিয়নের বিভিন্ন হাওর, মাঠ-ঘাট ও রাস্তায় বন্যার পানি ঢুকেছে। সীমান্তবর্তী ধনীটিলা, ছনবাড়ী বাজার সড়কের উপর দিয়ে ঢলের পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে।
উত্তর খুরমা ইউনিয়নের রুক্ষা, গদারমহল, ঘাটপার, রাখা ফুরকান নগর, বিহাই, চলিতার বাঁক, ছাতক সদরের কান্দিগাঁও, কাজিহাটা, চরমহল্লা ইউনিয়নের কেজাউরা, হাসারু চরবাড়ুকা, চরমাধব, বল্লভপুর গ্রামের মানুষও পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আউশ-আমন ধানের বেশ কিছু বীজতলা, শাক-সবজির বাগান তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুফি আলম সুহেল জানান, সীমান্তবর্তী হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের প্রথম ধাক্কা লাগে ইসলামপুর ইউনিয়নে। উপজেলা সদরের সাথে নৌ-যোগাযোগ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। নোয়ারাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেওয়ান পীর আব্দুল খালিক রাজা জানান, নোয়ারাই ইউনিয়ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলের একটি ইউনিয়ন। এখানে প্রচুর সবজি চাষ, ধান চাষ হয়ে থাকে। বন্যায় ইউনিয়নের প্রচুর সবজি বাগান ও বীজ তলা তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন ইউনিয়নের হাজারো কৃষক।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না ইসলামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করে জানান, আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুতসহ সব প্রাথমিক প্রস্তুতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা