লালমোহনে আম চাষ করে হোসেনের বাজিমাত!
- মাকসুদুর রহমান পারভেজ লালমোহন (ভোলা)
- ০৫ জুন ২০২৪, ০০:০৫
দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চরউমেদ গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন আম চাষ করে সফল হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের বেপারী বাড়ির আলহাজ্ব জালাল আহাম্মদের ছেলে। নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় আম চাষ করে এক কথায় বাজিমাত করেছেন তিনি।
হোসেন নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চার বছর ধরে আমের চাষ করলেও চলতি মৌসুমে তার বাগানে সর্বোচ্চ আমের ফলন হয়েছে। বাড়ির আঙিনাসহ পার্শ্ববর্তী ১৬০ শতাংশ জায়গাজুড়ে তার আম বাগানে রয়েছে আট জাতের আম। জাতগুলোর নাম- ব্যানানা ম্যাংগ, গুড়মতি, হাঁড়ি ভাঙা, হিমসাগর, ফোর কেজি, রুপালি, ফজলি ও কাটিমোন। হোসেন বলেন, বর্তমানে আমার বাগানের ১৬০ শতাংশ জমিতে ১৩৭টি আমগাছ রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিগত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে মৌসুমের শুরুতেই জাত প্রায় ৪৫-৫০ হাজার টাকার আম বিক্রি করেছেন তিনি। জাতভেদে আমের দামও ভিন্ন। ব্যানানা ম্যাংগ ১৩০ টাকা, হিমসাগর, রুপালি ও হাঁড়ি ভাঙা আম গড়ে ১০০ টাকা দরে বিক্রি করেন। তিনি আরো বলেন, বাগানে যে পরিমাণ আম রয়েছে, তাতে শেষ পর্যন্ত প্রায় তিন-চার লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করেন।
তার বাগানে চার জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন। তাদের দৈনিক মজুরি ৭০০-৮০০ টাকা। এ ছাড়া কীটনাশক, সার ও সেচ খরচসহ সব মিলিয়ে আরো খরচ আছে তার। এ বছর তিনি তার বাগানের পরিসর আরো বাগাবেন বলে জানান। সেসব বাড়ানো জায়গায় তিনি আম ছাড়াও মাল্টা, আপেল, লিচু, কালো জাম প্রভৃতি ফলের গাছের চারা বা কলম লাগাবেন।
হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের কোনো সহযোগিতা তো দূরের কথা কোনো পরামর্শও পাননি তিনি। তাদের পরামর্শ পেলে আরো বেশি লাভবান হতে পারতেন বলে জানান মোহাম্মদ হোসেন। তিনি বলেন, আমি আমার বাগানের আমগুলো ফরমালিন ছাড়াই বিক্রি করছি। ফরমালিন মুক্ত থাকায় বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে মানুষ তার আম ক্রয় করছেন। বেপারিরা এসে বাগান থেকে আম ক্রয় করে নিয়ে যান বিক্রি করার জন্য।
লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু হাসনাঈন বলেন, আমি ওই খামারে দু’বার গিয়েছি। আম চাষে তার যদি কোনো পরামর্শের প্রয়োজন হয় তাহলে আমার সাথে বা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তাকে সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা