পরিকোট বধ্যভূমিতে গোয়ালঘর নির্মাণ
- নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) থেকে সংবাদদাতা
- ০৪ জুন ২০২৪, ০০:০৫
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের পরিকোট বধ্যভূমি। অসংখ্য নিরীহ-নিরপরাধ মানুষকে গুলি করে হত্যা এবং জীবিত মুক্তিকামী মানুষকে বস্তাবন্দী করে পরিকোট সেতুর ওপর থেকে ডাকাতিয়া নদীতে ফেলে হত্যা করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের এ নির্মম হত্যাযজ্ঞ্যের স্বাক্ষী পরিকোট বধ্যভূমি ৫৪ বছরেও দখল মুক্ত হয়নি। বধ্যভূমিটিতে ২০২০ সালে সীমানা প্রাচীর দেয়া হয়। এরই মধ্যে বধ্যভূমি দখল করে চাষাবাদ করা হচ্ছে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণকাজ শেষ হলেও প্রাচীরের ভিতরে ৫টি খড়ের গাদা ও একটি গোয়াল ঘর নির্মাণ করে দখল রাখা হয়েছে। দ্রুত এ বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন, শহীদদের তালিকা সম্বলিত নেইম-প্লেট ও সংরক্ষণের দাবি শহীদদের স্বজন, মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর।
জানা যায়, নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের পরিকোট গ্রামে ডাকাতিয়া নদী সংলগ্ন স্থানে ‘পরিকোট বধ্যভূমি’র অবস্থান। হানাদার বাহিনী এখানে তিনটি গণকবরে অসংখ্য মানুষকে পুঁতেছে বলে দাবি স্থানীয় বয়োবৃদ্ধদের। ২০০০ সালের ১৬ ডিসেম্বর নাঙ্গলকোটের তৎকালীন এমপি জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া এ বধ্যভূমি চিহ্নিতকরণ ফলক উন্মোচন করেন।
এই বধ্যভূমিতে হত্যা করা শহীদ সিরাজুল ইসলাম ও শহীদ আলী আশ্রাফ বীর বিক্রমের ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নেই। এখানে এসে অত্যন্ত আক্ষেপ হয়।
হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত ডা: গোরঙ্গ চন্দ্র সূত্র ধরের ছেলে ফুলিন সূত্র ধর বলেন, প্রশাসনের কাছে এ স্থানটিতে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন, শহীদদের নামের তালিকা ও সংরক্ষণের দাবি জানাই।
পরিকোট গ্রামের নদীর পাড় এলাকার মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে অভিযুক্ত মানিক মিয়া বলেন, জমিটি আমাদের সম্পত্তি, সরকার দখল করে নিয়েছে। তাই আমাদের জমি আমি ব্যবহার করছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আকবর হোসেন মানিক বলেন, বিষয়টি বহুবার উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি, কিন্তু তারা দখল মুক্তের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, নাঙ্গলকোট এসেছি মাত্র কিছুদিন হয়েছে, আমি এখনো স্থানটি পারদর্শন করিনি। বধ্যভূমি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্য, এটি দখলমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা