কলাপাড়ায় ৪১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত
- এইচ এম হুমায়ুন কবির কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
- ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০
রেমালের প্রবল বাতাসে দুমড়ে-মুচড়ে মাটির সাথে মিশে আছে বিদ্যালয়টি। কিছু অংশের টিনের চালা পুরোটাই উড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বেঞ্চগুলো এখন খোলা আকাশের নিচে। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মেনহাজপুর হাক্কানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। কলাপাড়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেনহাজপুর হাক্কানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি।
বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বারান্দায় বসে প্রাকনির্বাচনী পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক মিলনায়তনে এসএসসির শিক্ষার্থীরা ঠাসাঠাসি করে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভাঙা অবকাঠামোর একটি অংশে শিক্ষকরা বসে আছেন। ২০০৭ সালেও ঘূর্ণিঝড় সিডরেও বিদ্যালয়টির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৪টি কলেজ, ১২টি স্কুল ও ২৫টি মাদরাসা মোট ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রবিউল হোসেন বলে, ঘূর্ণিঝড়ে স্কুলটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়ায় এখন আমরা লেখাপড়া করতে পারছি না। তাই বিদ্যালয়ে গিয়ে আবার বাড়ি ফিরে এসেছি। তাদের চাওয়া দ্রুত বিদ্যালয়টি যেন মেরামত করা হয়।
অভিভাবক আবদুল জলিল বলেন, ‘আমাদের সাত-আটটি গ্রামের মধ্যে এই একটি মাত্র স্কুল। এই স্কুলটি ছাড়া আমাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার কোনো ব্যবস্থা নেই। তিনি আরো বলেন, এখানকার বেশির ভাগ জেলে এবং খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদের ছেলেমেয়েদের কথা চিন্তা করে অতি দ্রুত বিদ্যালয়টি মেরামত করে দেয়ার অনুরোধ করছি।
জানা যায়, বিদ্যালয়টি ১৯৯৬ সালে স্থাপিত হয়। স্থানীয় শিক্ষানুরাগী মেনহাজ উদ্দিন সিকদার বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। এ জন্য তিনি এক একর ১৬ শতক জমি ও অর্থ দান করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ উজ্জামান বলেন, এখন কোনো রকমে একটি ঘর ও বারান্দা মিলিয়ে ক্লাস নিতে হয়। প্রাকনির্বাচনী পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের সকাল ১০টার সময় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শ্রেণিকার্যক্রমের অবস্থা না থাকায় সকাল ৮টার সময় নিতে হচ্ছে ও ১১টার সময় শেষ হচ্ছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে রেমালের পরই দরখাস্ত দিয়েছি।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামান খান বলেন, কলাপাড়া উপজেলায় ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা