নীলফামারীতে বাড়ছে বাদামের চাষ
- আবদুল গফুর নীলফামারী
- ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০
অল্প খরচে বেশি লাভ আসায় দিন দিন নীলফামারীতে বাড়ছে বাদামের চাষ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর নীলফামারীতে বাদামের বাম্পার ফলন আশা করছেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, উঁচু ও নদীর চর এলাকায় বাদামের ফলন ভালো হয়। নীলফামারীর ডিমলা, ডোমার ও জলঢাকা উপজেলা নদী বেষ্টিত হওয়ায় এই সব উপজেলায় বেশি বাদাম চাষ হয়ে থাকে। আমন ও আলু উঠানোর পর বাদাম চাষ করা হয়। চিলমারি, হাইব্রিড ও লরি জাতের বাদামে বেশি ফলন হওয়ায় এ জাতের বাদাম চাষ করেন এ জেলার কৃষকরা। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদাম চাষে তেমন শ্রম দিতে হয় না। বাদামে রোগবালাই কম থাকায় কীটনাশক প্রয়োগের ঝামেলা কম। ফলন ভালো পেতে মাঝে মধ্যে কয়েকবার ছত্রাকনাশক স্প্রে করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। বাজারে বাদামের ভালো দাম থাকায় গত কয়েক বছর ধরে বাদাম চাষে ঝুঁকছেন এখানকার চাষিরা।
জলঢাকা উপজেলার কৃষক মাইদুল ইসলাম বলেন, আমি এবার পাঁচ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। এসব জমিতে আগে পাট আবাদ করতাম। এখন বাদাম চাষ করি। প্রতি বিঘায় যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হয়।
ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী গ্রামের কৃষক সাজু মিয়া বলেন, আমি কয়েক বছর থেকে বাদাম চাষ করার ফলে সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে। আমার লাভ দেখে অন্যান্য কৃষকরাও বাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। এবার আমি আট বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় চার লক্ষাধিক টাকা লাভের আশা করছি।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায় এবার নীলফামারী জেলায় ১ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, অল্প খরচ ও কম পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার জেলায় বাদাম চাষ বেশি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বাদামের ভালো ফলন হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা