মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে চলে জীবিকা
- দোহার (ঢাকা) সংবাদদাতা
- ০২ জুন ২০২৪, ০১:১৪
মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে চলে জনি মোল্লার জীবিকা। বিগত ২০ বছর ধরে তিনি ঢাকার দোহার উপজেলার পালামগঞ্জ বাজারে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে চালাচ্ছেন সংসার। আর এর উপার্জিত আয় দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ ভালো আছেন জনি।
জনি মোল্লা ঢাকার দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের চরকুশাই এলাকার ফজল মোল্লার ছেলে। তিনি জানান, ‘আমার বয়স তখন ১৭ বছর। বাবা দোহার উপজেলার লটাখোলা বাজারে সবজি বিক্রি করতেন। হঠাৎ বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি বাবার পেশার হাল ধরি। প্রথমে সবজি বিক্রি করতাম। একটা সময়ে কিছু মিষ্টি কুমড়া কিনে বিক্রি করি। কুমড়া বিক্রি করে ভালোই মুনাফা হয়। তারপর থেকে মিষ্টি কুমড়া বিক্রির সিন্ধান্ত নিই।’
তিনি বলেন, ‘এ বছর প্রায় আট হাজার কুমড়া কিনেছি। কুমড়া ফালি করে এবং আস্ত কুমড়া বিক্রি করি। প্রতিদিন আমি ৭০ থেকে ৮০টির মতো কুমড়া বিক্রি করতে পারি। এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আাছি।’
জনি মোল্লা জানান, এই মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করেই পার করে দিলাম ২০টি বছর। বাড়ির অদূরে পালামগঞ্জ বাজারই এখন আমার ঠিকানা। রোদ বৃষ্টি ঝড়ে খোলা আকাশের নিচে বেচাবিক্রি করতে হতো আগে। এ বছর পাকা একটি ভবনের নিচে বসেই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুমড়া বিক্রি করি। এই পয়সা দিয়েই আমার ছোট্ট দুইটি ছেলেকে লেখাপড়া করাচ্ছি। ওদেরকে মানুষ করতে পারাটাই আমার শেষ চাওয়া।
জনি মোল্লা আরো বলেন, একটা সময়ে নিজেকে নিয়ে অনেক কিছুই ভাবতাম। বিদেশে যাবো, অনেক টাকা কামাব। কিন্তু নিয়তি আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। কে কিভাবে আয় রোজগার করবে তা আগে থেকে কেউ জানে না। তবে হালাল উপার্জনের দিকেই সবার নজর থাকা উচিত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা