১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রেমাল কেড়ে নিয়েছে মেঘনা পাড়ের শতাধিক পরিবারের ভিটেবাড়ি

-

রেমালের তাণ্ডবে সর্বস্ব হারিয়ে ভিটাবাড়ির শেষ অংশটুকুতে বসে কাঁদছিলেন পারভিন আক্তার। চোখের সামনে পুরো গ্রাম চলে যাচ্ছে মেঘনার পেটে। তিনি যখন নতুন বউ হয়ে এ বাড়িতে আসেন তখনো নাকি এ গ্রামটি অনেক দূর পর্যন্ত ছিল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ভাঙতে ভাঙতে খরস্রোতা মেঘনা নদী বড় হয়েছে আর ছোট হয়েছে গ্রামটি। ঘটনাটি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীর তীরবর্তী চরবলাকি সাতঘড়িয়া কান্দিগ্রামের। গত ২৭ মে রিমালের তাণ্ডবে এ এলাকার ১১টি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
সরজমিনে হোসেন্দি ইউনিয়নের বলাকি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মাহফুজ মিয়া, সাগর, সাবেত মিয়া, আওলাদ ও আক্তার মিয়াসহ গ্রামের অনেকের ঘরগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার দৃশ্য।
সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। নিজেদের রোজগার করা আয় থেকে প্রতিবছর বর্ষার আগে বাঁধে মাটি ভরাট করেও বালির বস্তা দিয়ে কোনোরকমে বর্ষাকালটি পার করি। কিন্তু এবার রেমালে সাতঘড়িয়া কান্দির সকলের ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী মনির প্রধান খোকনসহ ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক পরিবার জানায়, রেমেল তাদের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে গেছে। নদীভাঙন শুরু হওয়ায় ইতোমধ্যে অনেকে পৈতৃক সম্পত্তি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার নয়া দিগন্তকে জানান, শতাধিক পরিবার নয়; চারটি পরিবার পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০-১২টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীতেও কিছু পরিবার ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। আজ রোববার এলাকাটি পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে অর্থ বরাদ্দ দেয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

 


আরো সংবাদ



premium cement