১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বেতাগীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে ৪০ গ্রামে কৃষির ব্যাপক ক্ষতি

-

ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার কৃষি ফসল ও মাছ চাষিদের। বহু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। কয়েক হাজার কাঁচাবাড়ি ঘর বিধ্বস্তসহ উপড়ে পড়া গাছের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। ৩৫ কিলোমটার বেড়িবাঁধ ভেঙে ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্র্ণ বেড়িবাঁধে কৃষকের কান্না বেড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে জানা গেছে, বিষখালী নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে গ্রামর্ধন, বলইবুনিয়া, বদনিখালী, কাঠালতলী, কালিকাবাড়ি ও আলিয়াবাদসহ ১২টি এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার মৎস্য খামারের অন্তত ৪০টি মাছের ঘের, ২৫০টি পুকুর পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে।
বিবিচিনি ইউনিয়নের মৎস্যচাষি এমাদুল হক বলেন, মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে রয়েছে এবং ঘের থেকে মাছ বের হয়ে গেছে। এ ছাড়া সবজি বাগানসহ ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। সরিষামুড়ি ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামের নেপাল হাওলাদার (৪৮) বলেন, ‘বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি শো শো করে ফসলে মাঠে পানি ঢুকে সব তলিয়ে গেছে। মাঠের উঠতি ফসল নষ্ট হওয়ার দুশ্চিন্তায় রয়েছি। লক্ষ্মীপুরা গ্রামের আব্দুর রহমান (৩৪) বলেন, ১০টি কলা ও সবজি বাগান সম্পূর্ণ বিধস্ত এবং মাছের ঘের থেকে সব মাছ বের হয়ে যাওয়ায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে কেঁদে ফেলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন, রেমালে উপজেলায় পাঁচ সহস্রাধিক কৃষক অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এতে অন্তত ৫০০ হেক্টর জমির ফসল জলাবদ্ধতায় ডুবে গেছে। এর মধ্যে ৩ হাজার হেক্টর আউশের বীজতলাসহ, পান, সুপারি, কলাবাগান ও শাকসবজি খেতসহ আরো ৫০০ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার পরিমাণ এখন পর্যন্ত নিরূপণ করা যায়নি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউএনও বিপুল শিকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে কাঁচাঘর, রবিশস্য, সড়ক ও বেড়িবাঁধের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামতের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে।’


আরো সংবাদ



premium cement