১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মিরসরাইয়ে ভেসে গেছে কোটি টাকার মাছ

মুহুরী প্রজেক্টের ডুবে যাওয়া পুকুর : নয়া দিগন্ত -

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে মিরসরাইয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে ফেনী নদীর জোয়ারের পানি ঢুকে মুহুরী প্রজেক্ট এলাকার প্রায় ২৬ হেক্টর মৎস্য প্রকল্পের কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। দমকা বাতাস ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ১০ হেক্টর আউশ বীজতলা ও ১৮০ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজিক্ষেত নষ্ট হয়েছে। গত সোমবার সকাল থেকে উপজেলার প্রায় ৯০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগবিহীন অবস্থায় রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেমালের তাণ্ডবে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় গাছ উপড়ে পড়া, টিনশেড ঘর ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ লাইনের খুঁটি ভেঙেছে ৩৭টি, তার ছিঁড়েছে ৩৪০টি স্পটে, ক্রস আর্ম ভেঙেছে ৩৬টি। উপজেলায় প্রায় ৯০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন হয়ে যায়। উপজেলার হাবিলদারবাসা এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ে ২০ ঘণ্টা ধরে ছাগলনাইয়া-করেরহাট সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল।
মধ্যম ওয়াহেদপুরের কৃষক আব্দুল হান্নান বলেন, এবার আমি প্রায় ৭০ শতক জমিতে বোরো আবাদ করেছি। ঘূর্ণিঝড়ের আগে ৩০ শতক জমির ধান কেটে বাড়িতে নিয়েছি। বাকি ৩০ শতক জমির পাকা ধান পানিতে ডুবে থাকায় ধান পচে ক্ষতির আশঙ্কা করছি।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর মিরসরাই জোনাল অফিসের এ জি এম প্রকৌশলী উদয়ন দাশ গুপ্ত বলেন, আমাদের ২২টি খুঁটি ভেঙেছে। বারইয়ারহাট জোনাল অফিসের ডিজিএম হেদায়েত উল্যাহ বলেন, আমাদের ১২টি খুঁটি, ৮টি ক্রস আর্ম ভেঙেছে। ২৫ হাজার গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎসংযোগ পায়নি। সীতাকুণ্ড জোনাল অফিসের ডিজিএম পঙ্কজ চৌধুরী বলেন, আমার অধীনে থাকা মিরসরাইয়ের ওয়াহেদপুর ও সাহেরখালী ইউনিয়নে ৩টি খুঁটি ও ১২টি ক্রস আর্ম ভেঙেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, রেমালের কারণে উপজেলার ১০ হেক্টর আউশ বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে ও ১৮০ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মুহুরি প্রজেক্ট এলাকার ৩২টি খামারের ২৬ হেক্টর পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মুহুরী প্রজেক্টের পুকুরগুলো পাশাপাশি লাগানো থাকায় পাড় থাকে একদম সরু। ফলে অল্প বৃষ্টিতে পাড় ভেঙে মাছ পাশর্^বর্তী পুকুরে ভেসে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement