মোর ঘর শ্যাষ, ফেইদ্দ্যার চাউল কয়ডাও ভিইজ্যা গ্যাছে
- নাসির উদ্দিন ইন্দুরকানী (পিরোজপুর)
- ৩০ মে ২০২৪, ০০:০৫
ঘরের উফর গাছ পড়ে মোর ঘর শ্যাষ ফেইদ্দ্যার (ফেতরার) চাউল কয়ডাও ভিইজ্যা গ্যাছে ম্ইু এহন কই থাকমু কী খামু। সব হারিয়ে কথাগুলো বলেছিলেন পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার চর বলেশ^র গ্রামের বিধবা শাহানুর বেগম। শাহানুরের স্বামীর বাড়ি চণ্ডিপুর গ্রামে। স্বামী মারা গেছেন ১০ বছর আগে। ছয়টি মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন, সবাই শ^শুর বাড়ি থাকেন। নিঃস্ব শাহানুর চরবলেশ^র গ্রামে বাবার জমিতে একটা ছাপড়া ঘরে বাস করেন। বিধবা ভাতা আর রাস্তায় কাজ করে তিনি সংসার চালান। রমজান মাসে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফিতরার চাল সংগ্রহ করে জমা করে রেখেছিলেন ভবিষ্যতের জন্য। ঘূর্ণিঝড় রেমালে তার ছাপড়া ঘরের ওপর সরকারি রাস্তার একটা বড় রেইন্ট্রি গাছ পড়ে ঘর চুরমার হয়ে গেছে। তিনি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকায় ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছেন। এখন তিনি কোথায় থাকবেন আর কী খাবেন ভেজা চাল রোদে শুকাতে শুকাতে আক্ষেপের সাথে তিনি এ কথাগুলো বলছিলেন।
শাহানুর জানান, তিনি এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি সাহায্য পাননি। চণ্ডিপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, শাহানুরের একমাত্র আশ্রয়টুকুও শেষ হয়ে গেছে। তার জন্য সরকারিভাবে একটা ঘরের ব্যবস্থা করা দরকার।
নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল আহসান গাজী জানান, ঝড়ের আগের রাত থেকে শুরু করে এলাকার দুর্গত মানুষের পাশে আমি ছিলাম। সাধ্যমতো তাদের সাহায্য করেছি এবং করে যাচ্ছি। এ উপজেলায় ৯৫ শতাংশ লোকের ক্ষতি হয়েছে, যা ১০০ কোটি টাকারও বেশি। তিনি আরো বলেন, দুর্গত মানুষ যাতে সব ধরনের সহায়তা পায় তিনি তাতে সব ধরনের চেষ্টা করবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা