ধামরাইয়ে তালের শাঁসের চাহিদা বৃদ্ধি
- নবীন চৌধুরী ধামরাই (ঢাকা)
- ২৮ মে ২০২৪, ০০:০০
ধামরাইয়ে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে তালের শাঁসের। পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খেতে অত্যন্ত সুস্বাধু তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে শহর গ্রামের হাটে বাজারে সর্বত্র। ২০ টাকা থেকে শুরু করে মান ভেদে ৪০ টাকা পর্যন্ত একটি তাল বিক্রি হচ্ছে। তালের কদর বেড়ে যাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন মৌসুমি ক্ষুদ্র তাল বিক্রেতারা।
তালের পাইকার ব্যবসায়ী শাওন ও সালাউদ্দিন বলেন, ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলা ঘুরে ঘুরে গাছের মালিকদের কাছ থেকে তাল সংগ্রহ করি। সাধারণত একটি গাছে কতটি তাল রয়েছে তার একটা অনুমান করে দাম নির্ধারণ করা হয়। গড়ে একটি গাছ থেকে এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকার তাল কিনি। তারপর তা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি।
ধামরাই এলাকার খুচরা তাল বিক্রেতা মমিন মিয়া বলেন, তিনি সাধারণত ফুটপাথে চা বিক্রি করেন। কিন্তু জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে চা বিক্রি বন্ধ রেখে তাল বিক্রি শুরু করেছি। এতে ভালো লাভ হচ্ছে। তাল বিক্রেতা আশুলিয়া গোয়ালবাড়ির তোফাজ্জল হোসেন বলেন, জ্যৈষ্ঠ মাস আসলেই তালের শাঁস সবার কাছে বেশ প্রিয় হয়ে যায়। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে এর ব্যাপক চাহিদা। বিশেষ করে শিশুদের কাছে তো তালের শাঁস অমৃতে সমান। নীলফামারী থেকে আসা রুবেল হোসেন ধামরাই বাজারে তালের শাঁস বিক্রি করছেন। তিনি জানান, প্রতিদিন তাল বিক্রি করে তার হাজার টাকার চেয়েও বেশি লাভ থাকে। তিনি ভ্যানে করে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে তাল বিক্রি করেন।
তালের শাঁসের গুণগত উপকারিতা সম্পর্কে স্থানীয় এক পুষ্টিবিদ বলেন, তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ দেহের পানি শূন্যতা দূর করে। এর এ্যামাইনো অ্যাসিড প্রোটিনের একটি ভালো উৎস্য। একই সাথে ভিটামিন ও মিনারেলর উৎস্য এই তালের শাঁস। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১ (থায়ামিন), বি২ (রিবোফ্লাভিন) এবং ক্যালসিয়াম, আয়রণ ও পটাশিয়ামের থাকে। তালে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ওজন কমাতেও সাহয্য করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা