দৌলতপুরে হাজার হাজার যুবক অনলাইন জুয়ায় আসক্ত
টাকা পয়সা খুইয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকেই। অনেকে হয়েছেন বাড়িছাড়া- আহাদ আলী নয়ন দৌলতপুর (কুষ্টিয়া)
- ২৭ মে ২০২৪, ০০:০৫
অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ তরুণ সমাজ ও শ্রমজীবী মানুষ। টাকা পয়সা খুইয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকেই। অনেকে বাড়িছাড়া হয়েছেন। এসব অনলাইন জুয়া দেশে নিষিদ্ধ হলেও এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো তৎপরতা নেই। এ কারণে জুয়াড়–রা ঝুটঝামেলা ছাড়াই অনলাইন জুয়া খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের তারকাদের নিয়ে বেটিংয়ের বিজ্ঞাপন দেয়ায় তরুণ সমাজ আরো বেশি ঝুঁকে পড়ছে এসব জুয়ায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিদিন দৌলতপুর উপজেলায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে অনলাইন জুয়ায়। জুয়ার টাকা জোগাতে সম্প্রতি বিভিন্ন অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে উঠতি বয়সের তরুণরা। আকর্ষণীয় অফার ও চটকদার বিজ্ঞাপনের ফলে যারা জুয়ায় বাজি ধরছেন, তাদের খুব কমসংখ্যকই এই আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। উপজেলার প্রতিটি গ্রামেই অনলাইন বেটিং ছড়িয়ে পড়ছে। আইপিএল থেকে শুরু করে প্রায় সব ম্যাচেই জুয়ার আসর বসছে। অনলাইন বেটিং করার জন্য দেশী-বিদেশী অনেক অ্যাপস ও সাইট রয়েছে। এসব অ্যাপস মোবাইল বা কম্পিউটারে ইনস্টল করার পর সেখানে রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাকাউন্ট খুলে ঘরে বসেই খেলা যায় অনলাইন জুয়া।
একাধিক অনলাইন বেটিং বা জুয়ার অ্যাপসে প্রবেশ করে দেখা যায়, অ্যাপসগুলো বিভিন্ন ইভেন্টে আকর্ষণীয় অফার সম্বলিত জুয়ার পসরা সাজিয়ে বসে রয়েছে। কোন টিম কত রান করবে, কোন টিম জয়ী হবে, কোন খেলোয়াড় কত রান বা উইকেট পাবে, কোন ওভারে কত রান হবে- এমন বহু আইটেম। কোন আইটেমের জন্য কত টাকা রেট তাও উল্লেখ করা থাকে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অ্যাপসের অ্যাকাউন্টে টাকা লোড করা যায়। পরে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ জুয়ায় লগ্নি করে অনায়াসেই খেলায় বেটিং ধরা যায়। হেরে গেলে টাকা চলে গেল। আর জিতলে মূল টাকাসহ জুয়ার রেটের টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে ফিরে এলো। পরে সেখান থেকে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমেই টাকা উত্তোলন করে নেয়া যায়। কোনো জটিলতা ছাড়া টাকার লেনদেন ও আকর্ষণীয় অফারের কারণে প্রতিদিনই এ খেলায় আসক্তি হয়ে পড়ছে অসংখ্য তরুণ ও যুবক।
অনলাইন বেটিং-এ আসক্ত কলেজ পড়–য়া এক শিক্ষার্থী জানায়, খেলা দেখার সময় অনলাইন বেটিংয়ের বিজ্ঞাপন দেখে এতে আগহী হয়ে ওঠি। কখনো লাভ কখনো লস হয়। একপর্যায়ে চরম আসক্ত হয়ে পড়ি। রাত জেগে বাজি নিয়ে ব্যস্ত থাকি। প্রায় তিন লাখ টাকা খুইয়েছি।’
কুষ্টিয়া পুলিশের সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করেন ইন্সপেক্টর ওবাইদুর রহমান। তিনি বলেন, মোবাইলে কাউকে হুমকি ধামকি দেয়া হলে, প্রতারণা করলে তাদের সফলতার সাথে লোকেশন ট্র্যাকিং করে আমরা অপরাধীদের ধরে থাকি। অনলাইনে বেটিং বা জুয়ার সাথে জড়িতদের শনাক্ত এবং অ্যাপসগুলো বন্ধ করার সক্ষমতা আমাদের নেই। তবে এ বিষয়ে কেউ প্রতারিত হলে বা অভিযোগ করলে আমরা আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে পারি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা