১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

লালমোহনের বেশির ভাগ কমিউনিটি ক্লিনিক জরাজীর্ণ

পূর্ব চতলা জরাজীর্ণ একটি কমিউনিটি ক্লিনিক : নয়া দিগন্ত -

দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহন উপজেলায় নির্মাণ করা হয় ৩৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক। এসব কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে ওষুধ এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন। তবে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো নির্মাণের পর থেকে দীর্ঘ বছর ধরে কোনো প্রকার সংস্কার না করায় ক্লিনিকগুলো এখন নিজেই রুগ্ন হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ এসব ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিচ্ছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)। ঝুঁঁকিতে আছেন এসব ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা রোগীরাও।
জানা গেছে, লালমোহন উপজেলার ৩৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ২২টির অবস্থা খুবই ঝুঁঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনঃনির্মাণ দরকার সাতটি ক্লিনিক ভবনের। পুনঃনির্মাণযোগ্য এসব ক্লিনিক হচ্ছে- কুলচড়া, পূর্ব চতলা জনতা বাজারসংলগ্ন ক্লিনিক, চরমোল্লাজী ভূঁইয়া বাড়ির দরজায়, লেজ ছকিনা, আসুলি, ফাতেমাবাদ এবং দক্ষিণ ফরাসগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিক। এ ছাড়া আরো ১৫টি ক্লিনিক ভবন মেরামত করা জরুরি। তা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চরমোল্লাজী ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) শহিদুল ইসলাম মুরাদ বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে আমার কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনটি খুবই জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে। ভেঙে গেছে ক্লিনিকের দরজা জানালা। প্রায় সময়ই ভবনের ছাদ ও দেয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তরা। বড় ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হয়।
ওই ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা বেগম শাহানাজ ও হাসান উদ্দিন জানান, এই এলাকাটি উপজেলা সদর থেকে অনেক দূরে। যার জন্য আমাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ভরসা কেন্দ্র এ কমিউনিটি ক্লিনিকটিই। বিগত দিনগুলোতে এখান থেকে স্বাচ্ছন্দে সেবা নিতে পারলেও এখন ক্লিনিকে আসতে ভয় হয়। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
কুলচড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি রীতা রায় বলেন, ক্লিনিকের অধিকাংশ স্থানে ফাটল থাকায় বৃষ্টি হলে ভেতরে আর বসা যায় না। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ক্লিনিক নতুন করে নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি কর্তৃপক্ষের কাছে।
পূর্ব চতলা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আকতার হোসেন জানান, ১৯৯৬ সালে স্থাপনের পর থেকে এ ক্লিনিক ভবনটি একবারের জন্যও মেরামত করা হয়নি। যার কারণে ভবনের বিভিন্ন স্থান খসে পড়ছে।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা: তৈয়বুর রহমান বলেন, উপজেলার কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবন বর্তমানে একেবারে জরাজীর্ণ। এগুলো নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। এ ছাড়া আরো কয়েকটি ক্লিনিক রয়েছে যেগুলোও মেরামত করা দরকার। এসব নিয়ে আমরা ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। যেসব কমিউনিটি ক্লিনিক পুনঃনির্মাণ ও মেরামতের প্রয়োজন তা পর্যায়ক্রমে করা হবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার ‘শূন্য পাঁচ’ কর্মসূচি ঘোষণা সিরিয়া যাচ্ছেন কাতারের প্রতিনিধিদল ভারত কখনো চায়নি বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক : মিয়া গোলাম পরওয়ার ‘উৎপাদনের জন্য কৃষি পণ্য ও উপকরণ সহজলভ্য এবং সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে’ পলিথিনে মোড়ানো নবজাতকের লাশ! আপনাকে ধরে এনে বিচার করা হবে : মোবারক হোসেন কালীগঞ্জে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উলামা পরিষদের বিক্ষোভ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরে যাবো : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতকে দেয়া ‘বিশেষ সুবিধা’ বাতিল করল সুইজারল্যান্ড বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাবি ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধা কবি হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত

সকল