সাদুল্লাপুরে পিকিং হাঁস পালনে সোহাগের আর্থিক সচ্ছলতা
- শহিদুল ইসলাম শাহিন সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা)
- ২৬ মে ২০২৪, ০০:০৫
খন্দকার তৌফিকুর রহমান সোহাগ (৪৫) নিভৃত পল্লী অঞ্চলে হাঁস পালন করে আর্থিকভাবে বেশ সফলতা দেখিয়েছেন। শিক্ষাজীবনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শেষ করে তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। চাকরিতে তিনি তেমন একটা ভালো করতে পারছিলেন না। পরে চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন। এর পর শুরু করেন হাঁসের খামার। সেই খামার করেই তিনি এলাকার সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন।
সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ দুর্গাপুরের সাতবিল নামক স্থানে সরেজমিন দেখা যায়, হাঁসগুলোর যতেœ ব্যস্ত সময় পার করছেন নতুন এই উদ্যোক্তা তৌফিকুর রহমান সোহাগ। সোহাগ বনগ্রামের কিশামত শেরপুর গ্রামের খন্দকার আবু তৈয়বের ছেলে।
জানা যায়, সোহাগ কলেজ জীবনেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি ২০২০ সালে চাকরি ছেড়ে দেন। বাড়ির পাশে সাতবিল নামক স্থানে নিজস্ব ১১ বিঘা জমিতে পুকুর বানিয়ে প্রথমে মাছ চাষ শুরু করেন। এর থেকে অনেকটাই লাভবান হন তিনি। চলতি বছর তিনি পিকিং জাতের হাঁস পালন শুরু করে। সোহাগ জানান, হাঁস পালনের জন্য উন্মুক্ত জলাশয়কে কাজে লাগাননি তিনি। কারণ পিকিং জাতের হাঁস আবদ্ধ মাচা পদ্ধতিতেই পালন করা হয়।
প্রথমে সাড়ে ৩০০ বাচ্চা কিনে এনে তিনি হাঁসের খামার শুরু করেন। এতে তার ৬৫ হাজার টাকা খরচ হয়। পিকিং জাতের হাঁস মাত্র ৪৫ দিনেই বিক্রির জন্য পূর্ণাঙ্গ রূপ নেয় এবং বিক্রি করা যায়। প্রথমবার তার খামার থেকে যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে লাভ হয় ৩০ হাজার টাকা। এর পর থেকে হাঁসের খামারেই ভাগ্য খুলে যায় সোহাগের। ইতোমধ্যে মানুষের মধ্যে প্রিয় হয়ে উঠেছে তার খামারের পিকিং জাতের হাঁসের গোশত।
সোহাগের খামার দেখতে আসা আজগর আলী বলেন, পুকুর-খাল-বিলের পানিতে হাঁস পালন দেখেছি; কিন্তু ঘরের মাচায়ও যে হাঁস পালন করা যায় তা কখনো দেখিনি। সোহাগের খামারে হাঁস পালনের কৌশল দেখে ভালো লাগল। তিনি আরো বলেন, পিকিং জাতের হাঁসের গোশত খেয়ে দেখেছি, বেশ সুস্বাদু। আমিও এমন একটি খামার করার কথা ভাবছি।
উদ্যোক্তা সোহাগ জানান, বাচ্চা তোলা থেকে ৪৫ দিন পর প্রত্যেকটি হাঁসের ওজন হয় তিন থেকে পাঁচ কেজি। পিকিং জাতের হাঁস পালনে তাই এত লাভ। কঠোর পরিশ্রম আর দৃঢ় মনোবল নিয়ে খামারটি পরিচালনা করছি আমি। পাশাপাশি মাছ চাষও হচ্ছে। খামার প্রতিষ্ঠার কারণে কয়েকজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করে দিতে পেরেছি।
সাদুল্লøাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটিনারি সার্জন ডা: আব্দুল্লাহেল কাফী বলেন, এ উপজেলায় পিকিং জাতের হাঁসের খামার আর কোথাও শুরু হয়নি। সোহাগের পাশাপাশি আরো যারা খামার স্থাপনে এগিয়ে আসবেন, তাদেরকে উপজেলা থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা