১৭ জুন ২০২৪
`

ছেলে এমপি, বাবা উপজেলা চেয়ারম্যান মা জেলা পরিষদ সদস্য

-


বগুড়ার আদমদীঘিতে ছেলে এমপি, বাবা উপজেলা চেয়ারম্যান এবং মা বগুড়া জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য হওয়ায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকে এ পরিবারকে পাওয়ারফুল ফ্যামিলি নাম দিয়েছেন। এমন ঘটনা শুধু বগুড়ায় নয় সারা দেশের মধ্যে অদ্বিতীয় বলে অনেকে বলেছেন। আর তারা হলেন, বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনের স্বতন্ত্র এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক খান মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদি বাঁধন, তার বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু পুনঃনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার মা মঞ্জুয়ারা খাতুন বগুড়া জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিরাজুল ইসলাম স্বাধীনতা-পরবর্তী তৎকালীন সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ নেতা ও জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবিএম শাজাহানের হাত ধরে জাসদে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এবং উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের সমর্থনে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি আদমদীঘি ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১২ সালে উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন।
২০১৭ সালে সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী মঞ্জুয়ারা খাতুন মহিলা সদস্য পদে নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে আবারো চেয়ারম্যান হন। ২০২০ সালে তিনি উপজেলা লীগের সভাপতি হন এবং সেই কমিটিতে যুব ও ক্রীড়া সম্পাদকের পদে মনোনয়ন দেন ছেলে খান মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদি বাঁধনকে। একই বছর তিনি তার স্ত্রী মঞ্জুয়ারাকে উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি করেন। এরপর ২০২২ সালে মঞ্জুয়ারা দ্বিতীয় দফায় জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২৩ সালের সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

পরে বগুড়া-৩ (আদমদীঘি ও দুপচঁাঁচিয়া উপজেলা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয় আসনটি। তাই তিনি নিজে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও ‘স্বতন্ত্র’ হিসেবে ছেলে বাঁধনকে দাঁড় করিয়ে দেন। পরে প্রার্র্থিতা প্রত্যাহারে বাধ্য হয়ে তিনি তার ছেলেকে বিজয়ী করেন। সর্বশেষ ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে আবারো চেয়ারম্যান হন।
এ দিকে বগুড়া-১ আসনের এমপি সাহাদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে সারিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান এবং এমপির ছোট ভাই অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লিটন সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সেখানেও নানারকম আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কেজিএম ফারুক বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নীতি পরিবর্তন না করা এবং বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দলকে ভোটে না আনতে পারলে আগামীতে কোনো নির্বাচনেই জনগণের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটবে না। সে ক্ষেত্রে অনেকেই সিরাজুল ইসলামের মতো সব ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করবেন, যা গণতন্ত্রের জন্য সুখকর নয়।


আরো সংবাদ



premium cement