১৭ জুন ২০২৪
`

গলাচিপা নির্বাচন অফিসের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

আইন উপেক্ষিত তদবিরই প্রধান ভরসা
-


নৈশপ্রহরী যখন উপজেলা নির্বাচনের পোলিং অফিসার। অনুমোদনহীন ও কার্যক্রমবিহীন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকেও অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। গত ২১ মে অনুষ্ঠিত গলাচিপা উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণে নিয়োগকৃত কর্মকর্তাদের তালিকায় এ রকম বিভিন্ন অসংগতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নির্বাচনের প্রশিক্ষণ না নেয়া অনেককে নির্বাচনের দায়িত্বে দেয়া হয়েছে। যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি থাকা সত্ত্বেও নাইটগার্ড (নৈশপ্রহরী), পিওন, ক্ষেত্র সহকারী, ল্যাব সহকারী, স্টোর কিপার, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পদ পদবি নেতাকর্মীসহ টিউবওয়েল মেকানিকদের নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ জন্য উপজেলার স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শত শত শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অনুমোদনহীন ও কার্যক্রম বিহীন দক্ষিণ পানপট্টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম ও তার স্ত্রী ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক সাথীকে রতনদী তালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অথচ ইব্রাহিম গলাচিপা জিসান কম্পিউটার সেন্টারে অপারেটরের কাজ করে বলে জানা গেছে।

গলাচিপা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান জানান, পানপট্টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা নামে প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রমহীন।
উপজেলার বিপিসি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গলাচিপা এনজেড মাদরাসার প্রভাষক সফিউল্লাহ জানান, আমিসহ আমার প্রতিষ্ঠানের তিন প্রভাষককে পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং প্রকৌশলী কার্যালয়ের হিসাবরক্ষককে সহকারী প্রিজাইডিং নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, তার অফিসের নৈশপ্রহরী পদটি গোপন করে অন্য পদ ব্যবহার করে সে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছে। এ ছাড়া চরকাজল ইসলামিয়া দাখিল মাদাসার নৈশপ্রহরী দেলোয়ার হোসেনকে চরকাজল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট নিতে দেখা গেছে বলে স্থানীয় এক দফাদার জানিয়েছে।

গত ১০ ও ১১ মে উপজেলা নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং এবং পোলিং অফিসার হিসেবে ১৯ শ’ ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তবে প্রশিক্ষণবিহীন ব্যক্তিদেরকেও নির্বাচনের দায়িত্বে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দিনের পারিশ্রমিক হিসেবে প্রিজাইডিং অফিসারদের ১১,৮০০ টাকা, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের ৯,১০০ টাকা ও পোলিং অফিসারদের ৬,৪০০ টাকা করে দেয়া হয়েছে।
খারিজ্জমা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামান জানান, তার কলেজের পাঁচজন প্রভাষক প্রশিক্ষণ নিলেও কাউকেই নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। কিন্তু কে আলী কলেজের তিনজন শিক্ষক প্রশিক্ষণ ছাড়াই দায়িত্ব পালন করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জহিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে পটুয়াখালী সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার খান আবি শাহানুর খান বলেন, বিধি অনুসারে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement