তানোরে অর্থের বিনিময়ে অবৈধ মোটরে বিদ্যুৎ সংযোগ

রাজশাহীর তানোরে অর্থের বিনিময়ে অবৈধ মোটরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের চকপ্রভুরাম গ্রামের ফেলু মণ্ডলের ছেলে এরশাদ আলী চকপ্রভুরাম মাঠে সেচ নীতিমালা লঙ্ঘন করে বিএমডিএ’র গভীর নলকূপের কমান্ড এরিয়ায় পাঁচ হর্স পাওয়ারের অবৈধ সেচ মোটর স্থাপন করেছে। এ দিকে পল্লী বিদ্যুতের কিছু কর্মকর্তা ও কথিত লাইনম্যান এবং টেকনিশিয়ান বুলবুলের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে অবৈধ মোটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে বুলবুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ দেয়ার মালিক পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। অফিস আমাকে যেখানে যেতে বলে আমি সেখানে যাই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিগত ২০১৪ সালে কৃষি মন্ত্রণালয় জারিকৃত পরিপত্রে বলা হয়, বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভের পানির সঙ্কট মোকাবেলায় সেচ মোটর স্থাপন নিরুৎসাহিত (বন্ধ) করে তা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা সেচ কমিটিকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা সেচ কমিটির এক সদস্য প্রশ্ন রাখেন, যেখানে মোটর বসানোর সুযোগ নেই, সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় কিভাবে।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাবের আলী বলেন, পল্লী বিদ্যুতের পরামর্শে তারা মোটর স্থাপন ও বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন, এখানে অনিয়মের কিছু নেই।
বিএমডিএ’র তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী জামিলুর রহমান বলেন, গভীর নলকূপের কমান্ড এরিয়ায় সেচ মোটর স্থাপনের কোনো সুযোগ নেই, বিদ্যুৎ সংযোগের তো প্রশ্নই উঠে না। তিনি আরো বলেন, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পল্লী বিদ্যুৎকে বলা হয়েছে।
অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা (এজিএম) কামাল হোসেন বলেন, এসব বিষয়ে ডিজিএম স্যার ভালো বলতে পারবেন। আমি কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ তানোরের ডিজিএম জহুরুল ইসলাম বলেন, লোকমুখে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে বুলবুলের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।