মাছ ধরার চাঁইয়ে স্বাবলম্বী দুই ভাই
- জাহাঙ্গীর আলম হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ)
- ২৪ মে ২০২৪, ০০:০৫
বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে খাল-বিল যখন থইথই করে, তখন বর্ষার সেই নতুন পানিতে মাছ ধরতে ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন ধরনের বাঁশের তৈরি ফাঁদ। গ্রাম-গঞ্জের খালে বিলে মাছ ধরার সবচেয়ে জনপ্রিয় ফাঁদ হলো চাঁই। প্রতি বছর বর্ষার আগে তাই ব্যস্ততা বেড়ে যায় কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের চাঁইপল্লীর কারিগরদের।
চাঁইপল্লীতে দিনরাত চলে চাঁই তৈরির কাজ। চাঁই তৈরি করেই এ উপজেলার দুই ভাই হাদিস ও রেনু মিয়া এবং ঠাডারকান্দা গ্রামের কেরামত আলী আজ স্বাবলম্বী। চাঁই তৈরির টাকা দিয়ে কেরামত আলী তার দুই ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছেন। তারাও এখন দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। বেশ সচ্ছল জীবনযাপন করছেন কেরামত। কিন্তু চাঁই তৈরির কাজ তিনি ছেড়ে দেননি। এখনো করছেন।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে চাঁইপল্লী হিসেবে পরিচিত উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের কুড়িমারা, গলাচিপা, রহিমপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মাছ ধরার চাঁই তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কারিগররা। এ কাজে তাদের সহযোগিতা করছে পরিবারের অন্য সদস্যরাও।
এ সময় কুড়িমারা গ্রামের বৃদ্ধ চাঁই কারিগর রইছ উদ্দিন জানান, চাঁই তৈরির প্রধান কাঁচামাল বাঁশ। প্রথমে বিভিন্ন মাপে বাঁশের শলা তুলে সেগুলো রোদে শুকিয়ে নিতে হয়। তার পর শুরু হয় চাঁই তৈরির কাজ। দেশীয় মাছ ধরতে খাল, বিল কিংবা ফসলি ক্ষেতে এসব চাঁই পুঁতে রাখলে চাঁইয়ে মাছ পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা অধ্যাপক আশরাফ আহমেদ জানান, দেশীয় এ কুটির শিল্পটি আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন এগিয়ে এলে এবং চাঁই কারিগরদের আর্থিক সহায়তা দিলে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকাকে আরো সচল করা যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এহসানুল হক জানান, চাঁই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি কুটির শিল্প। চলতি অর্থবছর প্রান্তিক এই কুটির শিল্প কারিগরদের তালিকাভুক্তির মাধ্যমে প্রণোদনা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে তারা কিছুটা উপকৃত হবেন বলে আশা করছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা