ঝড়ে মাদরাসা বিধ্বস্ত, রোদের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান
- এনামুল হক রাজাপুর (ঝালকাঠি)
- ২১ মে ২০২৪, ০০:০৫
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পূর্ব আঙ্গারিয়া এ এস বালিকা দাখিল মাদরাসাটি ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ৩৮ দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে ও বারান্দায় পাঠদান করা হচ্ছে। এতে প্রচণ্ড রোদে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীরা অসুস্থ হওয়াসহ উপস্থিতি কমে গেছে। গত ৭ এপ্রিল ঝড়ে কাঠ ও টিনের ৮ কক্ষ বিশিষ্ট মাদরাসাটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিধ্বস্ত হওয়া মাদরাসার উত্তর পাশের মাঠের মধ্যেই কাঠফাটা রোদে গাছের ছায়ায় ও খোলা স্থানে শিক্ষকরা পাঠদান করাচ্ছেন। এ সময় বোরকা ও হিজাব পরা অনেক শিক্ষার্থী প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন।
নবম শ্রেণীর ছাত্রী রাবেয়া, সাহারা, দশম শ্রেণীর ছাত্রী মুনিয়া ও মরিয়ম জানায়, তারা ঠিক মতো ক্লাস করতে পারছে না। রোদে বসে ক্লাস করলে মাথা ধরে, অস্বস্তি লাগে। তাদের অনেক সহপাঠী গরম ও বৃষ্টিতে মাদরাসায় আসে না। সামনে মূল্যায়ন পরীক্ষা। যেখানে ঠিকমতো ক্লাসই করতে পারছি না, সেখানে কী লিখব।
মাদরাসাটিতে ২২১ জন ছাত্রী অধ্যায়নরত। ঘূর্ণিঝড়ে আটটি শ্রেণীকক্ষসহ সম্পূর্ণ ঘরটি বিধ্বস্ত হয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে। বিধ্বস্ত ঘরটির দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট ও প্রস্থ ২৫০ ফুট। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে মাদরাসা সুপার আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ জানান, তীব্র গরমে নিরুপায় হয়ে রোদের মধ্যে ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছি। মাদরাসাটি জরুরি ভিত্তিতে মোরামতসহ ভবন নির্মাণ দরকার।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা আলম জানান, প্রতিবার ঝড়ের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতির বিষয়ে তথ্য নেয়া হলেও এবার ঝড়ের পর কোনো তথ্য চায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবুও এ মাদরাসার ঘরটি বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা