১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মংলায় আ’লীগের মধ্যে নানা কোন্দল ও বিভক্তি

-


আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ। এতে করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাধারণ কর্মীরাও বিভ্রান্তিতে পড়ছেন।
নেতাকর্মীরা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে সঙ্ঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি নির্বাচনে না আসায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগেরই নেতাকর্মীরা। এ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ক্ষমতাসীন দলের তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। আর তাদের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে নেতাকর্মীরা নানা সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন।

স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস আলী ইজারাদার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কারণে দলের ভেতরকার দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন এবার চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে মাঠে রয়েছেন।
সব মিলিয়ে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের এই বিভেদ থেকে বিরোধী দলগুলো ফায়দা নেবে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেনের (দোয়াত কলম) পক্ষে সরাসরি প্রচার চালাচ্ছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ: রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইস্রাফিল হাওলাদারসহ অন্য নেতারা। এ ছাড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের (আনারস) পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রচারে রয়েছেন গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস আলী ইজারাদার, পৌর যুবলীগের সভাপতি ও পৌর প্যানেল মেয়র কবির হোসেন, সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারাদার, পৌর আট কাউন্সিলরসহ অনেকে।

তবে বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদারের (চিংড়ি) নির্বাচনি প্রচারে আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য কাউকে দেখা না গেলেও অনেক নেতাকর্মী তাকে সমর্থন দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে মংলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ: রহমান, বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচন দল নিরপেক্ষ নির্বাচন। আওয়ামী লীগ কাউকে দলীয় মনোনয়ন বা সমর্থন দেয়নি। অন্যান্য দল নির্বাচনে না থাকায় আওয়ামী লীগের তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এতে করে তাদের মধ্যে এক ধরনের বিভেদ তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে নির্বাচনের পর তা আর থাকবে না।

 


আরো সংবাদ



premium cement