১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অদম্য মেধাবী মুন ও মীম তাদের শিক্ষা জীবন অব্যাহত রাখতে চায়

-

নাটোরের অদম্য মেধাবী ছাত্রী রোকসানা আক্তার মীম ও মোহনা আক্তার মুন এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েও পরিবারের দৈন্যদশার কারণে এখন হতাশায় ভুগছে। এমন ভালো ফল লাভের পরও তাদের মনে কোনো আনন্দ নেই।
নাটোর সদরের ছাতনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মুনের বাবা জহুরুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। মুন থাকে তার মা মর্জিনা খাতুনের সাথে মামার বাড়ি। স্থানীয় পণ্ডিত গ্রাম বটতলা মোড়ে মামা আব্দুল আজিজ খলিফার অবস্থাও ভালো না। মামার বাড়ির এক কোণায় জীর্ণ একটি ঘরে থাকে তারা। ঘরটিতে নেই কোনো চৌকি কিংবা পড়ার টেবিল। মা নিজে কাজ করে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালান। মুন নিজেও প্রাইভেট পড়িয়ে কিছুটা টাকা জোগার করে। মুন ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়।
অপর দিকে সদরের আগদিঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী রোকসানা আক্তার মীমের বাবা আব্দুল কুদ্দুস গাজী দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। তিনি কাজকর্ম করতে পারেন না। তিন বোনের মধ্যে মীম বড়। মা জরিনা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করে মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালান। এখন আর পারছেন না তিনি। মীমও ভবিষ্যতে একজন ডাক্তার হতে চায়।
মুন ও মীম তাদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখতে চায়। তাই সমাজের সচ্ছল কোনো ব্যক্তি বা কোনো প্রতিষ্ঠান মীম ও মুনের পাশে দাঁড়ালে এ দুই কিশোরীর স্বপ্ন হয়তো পূরণ হবে। তা না হলে অকালেই ঝরে পড়তে পারে দুটি অদ্যম মেধাবী মুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement