বর্ষায় রাঙ্গাবালীর বড় বাইশদিয়ায় চলা দায়
- রফিকুল ইসলাম রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
- ১৪ মে ২০২৪, ০০:০৫
রাঙ্গাবালীর বড় বাইশদিয়া ইউনিয়নের কাটাখালী, চরখালী, মধুখালী ও টুগিবাড়িয়া গ্রামে পাকা রাস্তা না থাকায় বর্ষায় ও বৃষ্টিপাতের সময় চলাচল করতে ভীষণ দুর্ভোগ পোহাতে হয় মানুষদের। সরেজমিন দেখা যায়, বড় বাইশদিয়া ইউনিয়নের কাটাখালী থেকে মধুখালী গ্রাম পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা রয়েছে। এই দীর্ঘ কাঁচা রাস্তাটি এখন চার গ্রামের মানুষদের দুর্ভোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাস্তার পাশে আছে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদথ্যালয় ও একটি মাধ্যমিক বিদথ্যালয়। আরো আছে প্রায় দুই শতাব্দী পুরোনো একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার।
রাস্তাটি পাকা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে সাধারণ মানুষদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। তার সাথে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদথ্যালয় ও একটি মাধ্যমিক বিদথ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বর্ষা মৌসুমে যেন কষ্টের সীমা থাকে না। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তাটি যেন অতি দ্রুত পাকা করা হয়।
কাটাখালী গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লোটাস মুন্সী প্রশ্ন তুলে বলেন, যেখানে কাটাখালী নামে ঐতিহ্যবাহী একটি বাজার রয়েছে এবং যে রাস্তার পাশে চারটি বিদ্যালয় আছে, সেই রাস্তা এতোদিন কাঁচা থাকে কিভাবে? এই রাস্তাটি তো অনেক আগেই পাকা হয়ে যাবার কথা। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরকে এই কর্দমাক্ত কাঁচা রাস্তা পেরিয়েই স্কুলে যেতে হয়। ওদের আসা-যাওয়ার এই কষ্ট দেখলে ভীষণ খারাপ লাগে। হাঁটু পরিমাণ কাদামাটি পেরিয়ে স্কুলে যায় তারা। আমি জনপ্রতিনিধিদের বিনীত অনুরোধ করছি, রাস্তাটি পাকা করে দিতে।
লোটাস মুন্সী আরো বলেন, দীর্ঘদিন এই ইউনিয়নে যারা চেয়ারম্যানি করে গেছেন, তারা আমাদের আশা দিয়েছিলেন যে, রাস্তাটি তারা পাকা করে দিবেন। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।
এ বিষয়ে বড় বাইশদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরাদ হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসনে আমাদের জননন্দিত নেতা মহিব্বুর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন। আমি তার একজন ছোট কর্মী ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছি। আমরা আশা করছি, এমপির হাত ধরে শুধু এই রাস্তাটিই নয়, বড় বাইশদিয়া ইউনিয়নের সব রাস্তা পাকা হয়ে যাবে। হয়ত শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ইতোমধ্যে কয়েকটা রাস্তা পাকাকরণের কাজ শুরু হওয়ার প্রক্রিয়া চলমান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা