১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নানা অনিয়মে জর্জরিত ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : নয়া দিগন্ত -

চিকিৎসক সঙ্কটসহ নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এই হাসপাতালে ৩২ জন চিকিৎসকের পদ কাগজে-কলমে থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ১৮ জন। এর মধ্যে দায়িত্ব পালন না করেই বেতনভাতা উত্তোলন করেন ১০ জন। ঘন ঘন লোডশেডিংয়েও জেনারেটর চালু না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।
জানা গেছে, ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক পদ ৩২টি। এর মধ্যে বিশেষজ্ঞ (কনসালট্যান্ট) পদ ১১টি। কাগজে-কলমে ১৮ জন চিকিৎসক দেখানো হলেও বাস্তবে কর্মরত আছেন মাত্র সাতজন। ১০ জন চিকিৎসক সংযুক্তিতে জেলা বা বিভাগীয় শহরে বসেই দায়িত্ব পালন করেন। প্রশিক্ষণে রয়েছেন একজন। এ ছাড়া ১৪টি চিকিৎসকের পদই শূন্য। সংযুক্তিতে থাকা চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেøক্সের অনুকূলে নিয়মিত বেতনভাতা উত্তোলন করেন। যে কারণে স্বাস্থ্য অধিদফতর এই হাসপাতালে চিকিৎসক নিয়োগ দিচ্ছেন না বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়াও হাসপাতালটির এমএলএসএস আটটি পদের মধ্যে পাঁচটি পদ শূন্য। আয়া, ওয়ার্ড বয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ১০টি পদ থাকলেও মাত্র দু’জন কর্মরত আছেন।
অন্য দিকে ঘন ঘন লোডশেডিং হলেও হাসপাতালের জেনারেটর চালু না করায় গরমে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী, স্বজনসহ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিশেষ করে মধ্যরাতে বিদ্যুৎ গেলে রোগী ও স্বজনদের দুর্ভোগ কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
হাসপাতালে সরেজমিন দেখা গেছে, বিভিন্ন ওয়ার্ডের সিলিংয়ে ঝুলছে বৈদ্যুতিক পাখা। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় সবগুলোই বন্ধ। বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা গরমে ছটফট করছেন। লোডশেডিংয়ের সময় রোগীর স্বজনদের হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে দেখা গেছে।
এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় রোগী দেখার সুযোগ পান না। পাশের উপজেলা ডোমার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আমাদের কমপ্লেক্সে এসে সপ্তাহে এক দিন অস্ত্রোপচার করে যান। তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত জ্বালানি বরাদ্দ না থাকায় এটি সবসময় চালানো হয় না। শুধু ওটি বিভাগের জন্য অস্ত্রোপচারের সময় জেনারেটর চালানো হয়।
এ প্রসঙ্গে জেলা সিভিল সার্জন ডা: মো: হাসিবুর রহমান বলেন, চিকিৎসক না থাকায় ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সহকারী চিকিৎসকদের এনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেয়া হয়েছে। কর্মস্থলের বাইরে অন্যত্র দায়িত্ব পালন করা চিকিৎসকদের ডেপুটেশন বাতিল করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছি; কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা মেলেনি। চিকিৎসক কর্মস্থলে না থাকলে যোগদান করে লাভ কী? তা ছাড়া জনবল-সঙ্কটের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানে।


আরো সংবাদ



premium cement
নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিএনপির শ্রদ্ধা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে দূষণে শীর্ষে ঢাকা ‘মধ্যপ্রাচ্যকে নিজেদের অনুকূলে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল’ শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা নামলো ৮ ডিগ্রিতে তালিবান মন্ত্রীর হত্যাকাণ্ডে আইএস-এর সম্প্রসারণ নিয়ে উদ্বেগ ভারতীয় সংবিধান লঙ্ঘন করে মোদী সরকার খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে : ড. মাসুদ যুক্তরাষ্ট্র-চীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সমন্বয় গড়তে সংশোধিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করলো দেশ গড়ার দ্বিতীয় সুযোগ যেন কোনোভাবেই নষ্ট না হয় : আসিফ নজরুল লেককে ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালক করলেন ট্রাম্প এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হার পাকিস্তানের

সকল