১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
দুর্গন্ধে পরিবেশ বিপর্যস্ত

কুয়াকাটার বাস টার্মিনাল যেন ময়লার ভাগাড়

ময়লা-আবর্জনায় ভরা কুয়াকাটা বাস টার্মিনাল : নয়া দিগন্ত -


কুয়াকাটার বাস টার্মিনাল যেন ময়লা ও আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এর দুর্গন্ধে পুরো এলাকার পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে নানা রোগ জীবাণুু ছড়িয়ে পড়ছে। ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রী সাধারণসহ কুয়াকাটায় আগত দেশী-বিদেশী পর্যটকরা। কুয়াকাটা পৌর মেয়রের অবহেলা ও ময়লা আবর্জনা ফেলার সুনির্দিষ্ট কোনো স্থান বা ডাস্টবিন করে না দেয়ায় এমন বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে টার্মিনালটি।

কোনো ডাস্টবিন না থাকায় বাস টার্মিনালে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। যার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে মশা মাছির উপদ্রব। এই উপদ্রব যেন বেড়েই চলছে পুরো টার্মিনাল এলাকায়। ময়লা-আবর্জনা থেকে মশা মাছি উড়ে এসে পড়ছে ফুটপাথের ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানগুলোতে। আর সেই খাবারই খাচ্ছেন পরিশ্রান্ত পথচারী ও ভ্রমণ যাত্রীরা। ফলে কুয়াকাটায় এসে অনেকেই ডায়রিয়া ও আমাশয় আক্রান্ত হচ্ছেন।
দেশী-বিদেশী অনেক পর্যটক দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাতে পরিবহনে যাত্রা শুরু করে সকালে এসে নামেন কুয়াকাটার এ পৌর বাস টার্মিনালে। নেমে প্রথমেই পৌর এমন অব্যবস্থাপনার দৃশ্য দেখে তাদের মন খারাপ হয়ে যায়। এ খারাপ ধারণা নিয়েই শুরু হয় তাদের ভ্রমণ কার্যক্রম। অনেকে সকালে টার্মিনালের ভিতরে থাকা হোটেলগুলোতে নাস্তা খেয়ে ভ্রমণে বের হন। নাস্তা খেতে বসে প্রথমে তাদের চোখে মুখে বিরক্তির যে ছাপ লেগে যায়, সেটি নিয়েই সারা দিনের ভ্রমণ শুরু হয় তাদের। অনেকে দুর্গন্ধে ঠিকমতো নাস্তাও সারতে পারেন না। এমনি অভিযোগ করেন অনেক পর্যটক।

খুলনা থেকে আগত পর্যটক লায়েকুজ্জামান লাক্কু দম্পত্তি বলেন, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্যটা দেখার জন্যই কুয়াকাটায় এসেছি। কিন্তু বাস টার্মিনালের এমন বেহাল অবস্থা দেখে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। কুয়াকাটায় বাকি দু’টা দিন কিভাবে কাটবে সেটাই ভাবছি।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক জহিরুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পরে ঢাকার অনেক পর্যটক এখন কক্সবাজার না গিয়ে কুয়াকাটায় আসেন। কিন্তু এখানকার বাস টার্মিনাল তাদেরকে প্রথমেই যে ধারণা দেয় তা নিতান্তই দুঃখজনক। এমন একটি পর্যটন এলাকার বাস টার্মিনালের এ বেহাল অবস্থা মেনে নেয়া যায় না। এটা দেশের পর্যটন শিল্পের জন্যও হুমকিস্বরূপ।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিঙ্কন বায়েন বলেন, পর্যটন কেন্দ্র বিশিষ্ট কোনো পৌর এলাকায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার সুযোগ নেই। এটা পৌর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনারই বহিঃপ্রকাশ। ময়লা আবর্জনা ও প্লাস্টিকদ্রব্য ব্যবহারের পর সুনির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে পৌর মেয়রকেই। কুয়াকাটা পৌর বাস টার্মিনালে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশকে এমন দূষিত করে রাখলে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিবেন। পর্যটন শিল্পের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এ ব্যাপরে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, বাস টার্মিনালের জন্য নির্ধারিত ক্লিনার রয়েছে। তাদের কাজ হচ্ছে টার্মিনাল এলাকাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। বিষয়টি আমি সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পদক্ষেপ নিচ্ছি।


আরো সংবাদ



premium cement
বিশ্বখ্যাত তবলাবাদক জাকির হোসেন মারা গেছেন আজ মহান বিজয় দিবস তাজউদ্দীনের মেয়ের দৃষ্টিতে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব কুষ্টিয়ায় ট্রেন থেকে সাড়ে ৬ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতকে কাঠাল গাছে ঝুলিয়ে মেরে ফেলার হুমকি ইউপি চেয়ারম্যানের সাবেক এমপি ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নদভী আটক মহাদেবপুরে রাস্তার পাশে থেকে যুবকের জবাই করা লাশ উদ্ধার মহাদেবপুরে রাস্তার পাশে থেকে যুবকের জবাই করা লাশ উদ্ধার শ্রমিকদের অবহেলিত রেখে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয় : সেলিম উদ্দিন মহাদেবপুরে যুবকের লাশ উদ্ধার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠকসহ ৩ নেতাকে মারধর

সকল