নোয়াখালীতে শিক্ষকের দুই হাত ভেঙে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন
- নোয়াখালী অফিস
- ১২ মে ২০২৪, ০০:০৫
নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে মাদরাসা ছাত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙে দেয়ার প্রতিবাদে ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে গতকাল শনিবার মুছাপুর ক্লুজার সড়কে বানববন্ধন হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্র্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িত রাজু ও নোমানকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসায় মুছাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জহিরুল হকের ছেলে কিশোর গ্যাং মোহাম্মদ রাজু ও তার সহযোগী নোমান গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় মাদরাসার ক্যাম্পাসে আসে। রাজু ষষ্ঠ শ্রেণির কক্ষে ঢুকে এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করে। ওই সময় ছাত্রী ভয়ে শ্রেনি কক্ষে থাকা বেঞ্চের নিচে লুকিয়ে যায়। ক্লাসে সহপাঠীরা বাধা দিলেও রাজু তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। খবর পেয়ে মাদরাসার নূরানী বিভাগের শিক্ষক কারী মোহাম্মদ সোহেল এগিয়ে এলে রাজু ও তার সহযোগীরা মাদরাসার ভেতরে ওই শিক্ষককে মারধর করে। পরে একই মাদরাসার শিক্ষক হাসান এগিয়ে এসে সহকর্মী শিক্ষকের ওপর হামলা ও ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করে।
এ ঘটনায় মুছাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ রাশেদ অভিযুক্ত কিশোর গ্যাংয়ের নেতা রাজু থেকে এ ধরনের কাজ আর করবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে ঘটনা মিটমাট করে দেয়।
এ দিকে একই দিন মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কিশোর গ্যাংয়ের নেতা রাজু ও নোমানের নেতৃত্বে সাত-আটজন কিশোর গ্যাং সদস্যরা শিক্ষক মোহাম্মদ হাসানের গতি রোধ করে তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে রাস্তায় বেধড়ক পেটায়। একপর্যায়ে তার দুই হাত ভেঙে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসানকে জেলা শহর মাইজদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল মাহামুদ মাদরাসার পক্ষে এবং আহত মোহাম্মদ হাসানের পক্ষে তার শুশুর সাহাব উদ্দিন বাদি হয়ে কোম্পাানীগঞ্জ থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা