১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ভুয়া অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

বগুড়ায় ১৮ বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন
-

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ১৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সম্মানহানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। গতকাল শনিবার বগুড়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার আজমল হোসেন অভিযোগ করেন, কিছু বীর মুক্তিযোদ্ধা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারের আইন লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি মিথ্যা অভিযোগ ও সাংবাদিকদের অসত্য তথ্য দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে অসম্মানিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা অভিযোগকারী বিপথগামী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা আদমদীঘি উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কর্তৃক বিধি মোতাবেক বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেট, ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও পরিচয়পত্রধারী। তাই বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকার প্রদত্ত সব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছি। এমতাবস্থায় আদমদীঘির কতিপয় বীর মুক্তিযোদ্ধা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারের আইনের বিধি লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। সরকারি সিদ্ধান্ত মতে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে অসম্মানিত করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
তিনি আরো উল্লেখ বলেন, সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতে, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাদের জামুকা কর্তৃক অনুমোদিত গেজেট, ডিজিটাল সনদ, মুক্তিযোদ্ধা সম্মিলিত তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি, মুক্তিযোদ্ধা ভাতার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সনদ, মুক্তিবার্তা (লাল তালিকা) নাম অন্তর্ভুক্তিসহ সরকারের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার বিভিন্ন তালিকায় নাম উল্লেখ রয়েছে। অথচ আদমদীঘি এলাকার কতিপয় মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সাংবাদিকদের ৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ভুয়া বলে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, হবিবুর রহমান, জাফর উদ্দিন মন্ডল, সাইদুল ইসলাম, আব্দুস সাজ্জাদ, শাহজালাল, জাহেদুল ইসলাম, জয়েন উদ্দিন। মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে রাঙ্গা হোসেন, মাছুমা, রেহেনা, আকলিমা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে আদমদীঘি উপজেলা নির্র্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ বলেন, আমার কোনো কিছু করণীয় নেই। এসব বিষয়ে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।


আরো সংবাদ



premium cement