২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


লালমনিরহাটে দিনে গরম রাতে ঠাণ্ডা

বাড়ছে জ্বর-সর্দিসহ ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ

-

লালমনিরহাটে প্রায় মাস দেড়েক ধরে চলছে দিনে গরম রাতে ঠাণ্ডা। চৈত্র-বৈশাখ মাসের দিন ও রাতে গায়ে গরম কাপড় রাখা দায়। বরং রোদের তাপ তেতে থাকে অনেকটাই। কিন্তু সন্ধ্যা হতেই ভিন্নরূপ। শীতল হাওয়া এখনো পিছু ছাড়ছে না যেন। রাতে কম্বল না জড়ালে মিলছে না উষ্ণতা। যার প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যের ওপর। এতে করে বাড়ছে জ্বর, সর্দিসহ ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ।
জানা গেছে, লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালসহ আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে শিশু ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে। যার ফলে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে অনেককে। একই চিত্র হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে। বহির্বিভাগেও শিশু ও মেডিসিন চিকিৎসকদের চেম্বারের সামনে রোগীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
জেলা সদর হাসপাতালে সাত দিনের ব্যবধানে আউটডোর ও ইনডোরে ৪০ এবং জরুরি বিভাগে ৩০ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালের ১০ বেড বিশিষ্ট শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে ২৩ জন শিশু রোগী। যাদের অধিকাংশই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।
চিকিৎসকরা বলছেন, তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তীত তারতম্যের সাথে মানিয়ে নিতে পারছে না আমাদের শরীর। আর সেই সুযোগেই আক্রমণ করছে ভাইরাস, অ্যালার্জেন, ব্যাকটেরিয়া। ঘরে-ঘরে সর্দি-কাশি-জ্বর। দিন কতক হলো সকাল-সন্ধ্যায় ঠাণ্ডা লাগলেও বেলা বাড়তেই গরম। দূষিত পানি পান করা ছাড়াও গরমে ডায়রিয়ার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিশেষ করে শিশু-কিশোররা বেশি আক্রান্ত হয়।
নয় মাস বয়সী শিশুর চিকিৎসা নিতে আসা মা ফিরোজা খাতুন বলেন, গত কয়েক দিন থেকে সর্দি, কাশি ও জ্বরে ভুগছে। ফার্মেসি থেকে ওষুধ খাওয়ানো হলেও কোনো লাভ হয়নি। হাসপাতালে এসে দেখি রোগীর অনেক ভীড়।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: শাহাদাৎ হোসেন বলেন, তীব্র গরমে হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে রোগীর চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে শিশুরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে তীব্র গরমে অধিক পানি পান ও রোদে বের হলে ছাতার ব্যবস্থা রাখাসহ প্রয়োজন; না থাকলে বাইরে না বের হওয়াই উত্তম।


আরো সংবাদ



premium cement