২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


বছরে কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে যায়, নিঃস্ব হয় হাজারো মানুষ

দৌলতপুরে ফায়ার স্টেশন হবে কবে

স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ছে শতাধিক বিঘা পানের বরজ। ইনসেটে ফায়ার স্টেশনের জন্য দানকৃত জমি : নয়া দিগন্ত -

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় এক আতঙ্কের নাম অগ্নিকাণ্ড। নানা কারণে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে অগ্নিকণ্ডের ঘটনা। পুড়ে ছাই হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের সম্পদ। নিঃস্ব হচ্ছে প্রান্তিক কৃষকসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ। গত এক সপ্তাহে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় প্রায় ১৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় দ্রুত আগুন নেভানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। পার্শ¦বর্তী ভেড়ামারা, মিরপুর অথবা গাংনী উপজেলার ফায়ার সার্ভিসকে আসতে হয় আগুন নেভাতে। ততক্ষণে আগুনে পুড়ে ছাই হয় ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র ও সম্পদ।
জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলায় একটি ফায়ার
স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হলেও জমি ও আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতায় কেটে গেছে প্রায় দুই যুগ। এ দিকে ২০২২ সালে জমির জটিলতা কেটে গেলেও ফায়ার স্টেশন কবে হবে সে বিষয়েও কেউ স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর দেশের বৃহৎ উপজেলার মধ্যে একটি। ৪৬১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ উপজেলায় প্রায় ছয় লাখ লোকের বাস। উপজেলার বড় একটি অংশ দুর্গম এলাকা হওয়ায় অগ্নিকাণ্ডসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় নেই কোনো ব্যবস্থা। বিগত ২০০০ সালের দিকে এ উপজেলায় ফায়ার স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও দাফতরিক চিঠি চালাচালিতেই কেটে যায় অর্ধযুগের বেশি সময়। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দৌলতপুর উপজেলায় ফায়ার স্টেশন নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তখন থেকে শুরু হয় জমি অধিগ্রহণের জটিলতা। একাধিক জায়গা অধিগ্রহণের চেষ্টা করা হলেও নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে সরকারি মূল্য কম হওয়ায় জমি অধিগ্রহণ সম্ভব হয়নি। তখন একবার সরকারি খাস জমিতে স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও ওইসব জমি নিয়ে সুবিধাভোগীদের মামলার কারণে সে উদ্যোগও ব্যর্থ হয়।
গত ২০২২ সালে উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের চুয়ামল্লিক পাড়া গ্রামের স্থানীয় সমাজসেবী হাসিনা বানু ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করার জন্য ৮২ শতাংশ জমি দান করেন। পরবর্তীতে সেখানে একটি সাইনবোর্ড ঝুলানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের কাজ। আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতায় আজও আলোর মুখ দেখেনি সেই ফায়ার স্টেশন। স্থানীয়রা জানান, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ না হওয়ার পেছনে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ব্যর্থতাও কম দায়ী নয়।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়দুল্লাহ বলেন, একজন দাতা জমি দান করায় দীর্ঘদিনের জমির জটিলতা দূর হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাবতীয় কাগজপত্র তৈরি করে সংশ্লিষ্ট ফায়ার সার্ভিস দফতরে পাঠানো হয়েছে। এখন সেখানে স্টেশন নির্মাণের কাজ কবে শুরু হবে সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ফায়ার সার্ভিস দফতর বলতে পারবে।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস দফতরের সহকারী পরিচালক জানে আলম বলেন, বিষয়টি খবই গুরুত্বসহকারে নেয়া হয়েছে। লোকবলও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জমি দানপত্র হওয়ায় দাফতরিক কাগজপত্র তৈরিতে কিছুটা সময় লাগছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ও প্রয়োজনীয় অর্থ পেলে স্টেশনের অবকাঠানো নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফের ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি ম্যানসিটির টানা চতুর্থ শিরোপা কেএনএফের তৎপরতার প্রতিবাদে বান্দবানে মানববন্ধন তাপপ্রবাহের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য নতুন নির্দেশনা ‘ভুয়া তথ্য’ ছড়িয়ে কিরগিজস্তানে বিদেশী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা রংপুরে হুমকি দাতা ইউপি মেম্বারকে তলব করল রিটার্নিং কর্মকর্তা রোহিঙ্গা গ্রামে আরাকান আর্মির হামলা ও অগ্নিসংযোগ মিরপুরে ব্যাটারি চালিত রিক্সাচালক ও পুলিশ সংঘর্ষ : আহত অর্ধশত লজ্জাহীনতার বার্তা শিশুদের মনে দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার গুরুতর আঞ্চলিক সঙ্কটে পরিণত হয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল