রংপুরের দুই উপজেলায় ২৭ প্রার্থীর ২১ জনই আ’লীগের
- সরকার মাজহারুল মান্নান রংপুর অফিস
- ০৮ মে ২০২৪, ০০:০৫
- প্রভাব বিস্তার ও সহিংসতার শঙ্কা
- পীরগাছায় স্বস্তিতে জাতীয় পার্টি
আজ বুধবার অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা নির্বাচনে রংপুরে কাউনিয়া এবং পীরগাছায় তিনটি পদের বিপরীতে ২৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ২১ জনই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদ-পদবিতে রয়েছেন। বিপরীতে পীরগাছায় তিনটি পদে তিনজন জাতীয় পার্টির প্রার্থী থাকলেও তারা লাঙ্গল প্রতীক নেননি। স্বতন্ত্র প্রতীকেই নির্বাচন করছেন। কাউনিয়াতে জাতীয় পার্টির একজনও নেই। বিশ্লেষকরা মনে করেন, আওয়ামী লীগে একাধিক প্রার্থী থাকায় প্রভাব ও সহিংসতার মাত্রা বাড়াবে। ফাঁকে সুযোগ নিবে অন্যরা।
নির্বাচন কমিশন সূত্র মতে, কাউনিয়া উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এবার শুরু থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। এখানকার তিনটি পদে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনই আওয়ামী লীগের। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী দু’জনই আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী।
কাউনিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম মায়া, জেলা সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। বিপরীতে আছেন নির্দলীয় কর আইনজীবী হুমায়ুন কবির মুকুল।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন বলছে, কাউনিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী দুই আওয়ামী লীগ নেতা দুই শিবিরে বিভক্ত। তাই এই নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা চলমান।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাচনে তিনটি পদে লড়াইয়ের মাঠে থাকা ১৪ প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনই আওয়ামী লীগের। বাকিদের তিনজন জাতীয় পার্টি, একজন বিএনপির, কেউই নেননি দলীয় প্রতীক।
নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, নির্বাচনে মাঠে থাকা চার চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে তিনজনই আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতা। তছলিম উদ্দিন চৌধুরী উপজেলা সভাপতি, আব্দুল্লাহ আল মিলন সাধারণ সম্পাদক, মনোয়ারুল ইসলাম মাসুদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। এখানে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক মিলনের মনোনয়ন বৈধ হলেও তিনি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর বিপরীতে সবেধন নীলমনি জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাছের শাহ মো: মাহবুবার রহমান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা