১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


নীলফামারীতে হোগলাপাতার বাহারি হস্তশিল্পে স্বাবলম্বী নারীরা

হোগলাপাতা দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করছেন নারীরা : নয়া দিগন্ত -

নীলফামারীর হতদরিদ্র নারীরা এখন আর বেকার বসে অলস সময় কাটায় না। সাংসারিক কাজ বা স্কুল, কলেজ শেষে হোগলাপাতার দড়ি দিয়ে নানা ধরনের হস্তশিল্প তৈরি করে তারা নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলেছেন।
নীলফামারী জেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের সিংগীমারী, পূর্ব খোকশাবাড়ী, মাঝাডাঙ্গাসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের অভাব-অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী। পুরুষ-নারীর একমাত্র জীবিকার পথ ছিল কৃষিকাজ। পুরুষরা কৃষিকাজ পেলেও অধিকাংশ নারী থাকত বেকার। কিন্তু বর্তমানে এসব গ্রামের চিত্র বদলে গেছে। সবাই এখন ব্যস্ত সময় পার করেন হস্তশিল্প তৈরির কাজ করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামগুলোতে বিভিন্ন বয়সী নারীরা দলবদ্ধভাবে বসে তৈরি করছেন হোগলা পাতা দিয়ে নানান পণ্য। সংসারের কাজ শেষে বা স্কুল-কলেজ থেকে ফিরে যতটুকু সময় পান নিজেদের ব্যস্ত রাখেন হস্তশিল্প তৈরির কাজে। ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্পের সাথে জড়িত হয়ে আজ গ্রামগুলোর শতাধিক নারী স্বাবলম্বী। এখানকার আয় দিয়ে অনেকে করছেন সংসারে সহযোগিতা আবার অনেকে তাদের লেখাপড়ার খরচ নিজেরাই মিটাচ্ছেন।
কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি হস্তশিল্প তৈরির কাঁচামাল হোগলাপাতার দড়ি নোয়াখালী ও ভোলা থেকে নিয়ে এসে গ্রামের নারীদের সরবরাহ করে থাকেন। এরপর এসব দিয়ে তৈরি করা হয় পাটি, ঝুড়ি, ডালি, দোলনাসহ বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প। বাহারি এসব হস্তশিল্প বিক্রির জন্য পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
সিংগীমারী গ্রামের মাজেদা বেগম, লতিকা রাণী ও দিপিকা রায় জানান সংসারের কাজকর্ম শেষে অবসর সময় বসে না থেকে হোগলাপাতা দিয়ে ঝুড়ি ও ডালি তৈরি করে বাড়তি আয় করেন।
জেলা বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক চারু চন্দ্র বর্মণ বলেন, হোগলাপাতা সহজেই পচনশীল হওয়ায় পরিবেশ দূষনের কোনো সম্ভাবনা না থাকায় বিশ^বাজারে এই পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। নারীরা এ ধরনের কাজ করে নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন।


আরো সংবাদ



premium cement