সোনাতলায় চেয়ারম্যান পদে দুই আ’লীগ নেতা

আগামী বুধবার অনুষ্ঠিতব্য বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের তিনটি পদের সকল প্রতিদ্বন্দ্বীই আওয়ামী লীগের নেতা। বিএনপি, জামায়াতসহ সব বিরোধী দল এমনকি আওয়ামী লীগের জোট মহাজোটের কোনো শরীক দলও এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তাই একটি দল ছাড়া অন্যদের বর্জনের কারণে নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো আগ্রহ নেই।
নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বা মনোনয়ন না দিলেও চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের ৭ জন নেতাকর্মী তিনটি পদে লড়াই করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক দু’বারের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক মন্ডল ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করলেও দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে তা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফিদা হাসান টিটো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লীটন (আনারস), ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি (প্রস্তাবিত) জাকির হোসেন জাকির (মোটরসাইকেল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌসী রুম্পা (ফুটবল), পৌর মহিলা লীগের সাবেক আহবায়ক ওয়াছিয়া আক্তার রুনা (সেলাই মেশিন), মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী কুহেলী চক্রবর্তী (হাঁস) ও জোড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইশরাত আক্তার ইমু (কলস)।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত এ নির্বাচন বর্জন করায় ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। ফলে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই হবে বলে ভোটারদের ধারণা।
এ নির্বাচনে সোনাতলা উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৬৩ হাজার ৭৫১। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮১ হাজার ১৯৪ জন ও মহিলা ভোটার ৮২ হাজার ৫৫৭ জন।
নির্বাচন বর্জনের হুমকি প্রার্থী জাকির হোসেনের
এ দিকে নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির ােহসেন। তিনি গতকাল বগুড়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, বর্তমানে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে বার বার অভিযোগ দেয়ার পরেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। প্রতিনিয়ত আমার কর্মীদের হুমকি ও নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব বন্ধ না করলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হবো।