কটিয়াদীতে ঘুড়ি ওড়ানোর ধূম
- ফখর উদ্দিন ইমরান কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
- ০৬ মে ২০২৪, ০০:০৫
চাঁদনী রাতে আকাশ থেকে ভেসে আসে বাঁশির শব্দ। বৈশাখী রাতের বাতাস আর ভেলা বাঁশির আওয়াজ মিলেমিশে ভেসে এসে মুগ্ধ করে মনকে। সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা বেলা। সব সময়ই আকাশে দেখা মিলছে ঘুড়ি। বিশেষ করে বিকেলের নীল আকাশে যেন ঘুড়ির রাজত্ব। রাতে মনে হয় আকাশে যেন বিমান খেলা করছে। নিভুু নিভুু ঝলমলে আলো জ্বলে আকাশে। কখনো মনে হবে বড় সাপ, চিল, ঈগল, ঘর উড়ছে আকাশে। কখনো মনে হবে দৈত্য দানব উড়ছে! আসলে এগুলো বিভিন্ন ডিজাইনের ঘুড়ি।
আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের অংশ ঘুড়ি। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় এখনো ঘুড়ি উৎসবের দেখা মিলে। উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের কিছু এলাকায় আজো এ ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।
জানা যায়, বর্তমানে উপজেলায় ঘুড়ি বানানোর ধুম পড়েছে। আকাশে চোখ মেললেই ঘুড়ির লড়াইয়ের দৃশ্য, চলছে কাটাকাটির খেলা। ঘুড়ির মধ্যে লাইটিং করা হচ্ছে। বর্তমানে চাহিদা বাড়ায় প্রকার ভেদে দুইশ’ থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব ঘুড়ি। প্রতিদিন আকাশে দিন-রাত্রী পর্যন্ত উড়তে দেখা যাচ্ছে- চিল, কয়রা, ঢোল, পতিঙ্গা, পাখি, পরি, বাচ, ফুল, প্রজাপতি, মানুষ ঘুড়ি, সাপাসহ রংবেরঙের ঘুড়ি।
মসুয়া ইউনিয়নের বৈরাগিচর এলাকার ঘুড়িপ্রেমী ইদ্রিস বলেন, গ্রামে ঘুড়ি তৈরিতে যুবকরা ব্যস্ত সময় পার করছে। তাদের কাছেই এখন মিলছে ঘুড়ি। সাধারণত যেকোনো ডিজাইনের একটি ঘুড়ির দাম একশ’ থেকে পাঁচশ’ টাকা পর্যন্ত। বিকেলে একটু আনন্দ পেতেই তারা ঘুড়ি উড়াতে মেতে উঠছে। বঁাঁশ, বেত এবং বিভিন্ন রঙের প্লাস্টিক-কাগজের মোড়কে ঘুড়ি বানানো হয়। আবার কেউ ঘুড়িতে বাতি লাগিয়ে নিয়ে রাতের আকাশে উড়াচ্ছেন।
জনশ্রুতি আছে, ব্রিটিশ আমলে অভিজাত লোকদের বিনোদনের জন্য ঘুড়ি উড়ানোর আয়োজন করা হতো। ১৭৪০ দশকে নায়েব-এ-নাজিম নওয়াজেশ মোহাম্মদ খানের আমলে ঢাকায় ঘুড়ি উড়ানো উৎসব একটা ঐতিহ্যে পরিণত হয়। তখন থেকেই কিশোরগঞ্জের খোলা আকাশে অনেক ঘুড়ি উড়তে দেখা যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা