১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


পানিশূন্য যমুনাশ্বরী

মৎস্যজীবীদের মানবেতর জীবনযাপন

-

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার যমুনেশ্বরী ঘাঘট আখিরা নদী শুকিয়ে যাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন নদী তীরে বসবাসকারী মৎস্যজীবী পরিবারগুলো। প্রায় দেড় মাস আগে শুষ্ক মৌসুম শুরুর আগেই যমুনেশ্বরী, ঘাঘট, আঁখিরা নদী শুকিয়ে যায়। এতে সহ¯্রাধিক জেলে পরিবার বেকার হয়ে পড়ে। খেয়ে না খেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। তাই অনেকেই পরিবারের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যোগ দিয়েছেন।
মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর বড় বালা মিলনপুর, পায়রাবন্দ, ভাংনী, মির্জাপুর, ইমাদপুর, ইউনিয়েনের বুক চিরে যমুনেশ্বরী ঘাঘট আখিরা নদী প্রবাহিত। বর্তমানে পানিশূন্য হয়ে পড়ায় নদী তীরবর্তী মাঝিপাড়া কেশবপুর ছড়ান, উঁচা বালুয়া, সাহালামপুর, বড় বালা একডালা উঁচা বালুয়া, হাঁছিয়া, হেলেঞা, কেশবপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের বেশির ভাগ জেলে পরিবারে চলছে হাহাকার, চুলোয় চড়ছে না হাড়ি।
সরেজমিনে উপজেলার হাঁছিয়া গ্রামের সুধীর চন্দ্রের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আগে নদীতে মাছ ধরে সংসার চালাতেন। এখন রাজমিস্ত্রির কাজে যোগ দিয়েছেন। মাঝি পাড়া গ্রামের শ্রীকান্ত কয়েক বছর আগেও নদীতে মাছ ধরতেন। কিন্তু নদী শুকিয়ে যাওয়ায় তিনি বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে এখন সেলুনে কাজ করেন। তিনি এখন মাছ কিনে খান। তার মতোই পেশা বদল করেছেন অনেকে। সুরেশ কমলকান্ত, ধীরেনচন্দ্র ও অধীরচন্দ্রসহ কমপক্ষে ১০০ পরিবার।
উপজেলা মৎস্য দফতর সূত্র জানায় উপজেলায় জেলে পরিবারের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে কার্ডধারী তালিকাভুক্ত ৩ হাজার ২৭ জন। কার্ড নেই এমন পরিবারের সংখ্যাই বেশি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হকিবুর রহমান জানান, জেলেদের সমস্যার বিষয়টি তারা জেনেছেন। সরকারি কোনো অনুদান বা সহায়তা এলে অবশ্যই তাদের দেয়া হবে। নদীর পানিপ্রবাহ ধরে রাখতে নদী খননের মতো প্রকল্প আমাদের হাতে নেই। পানিপ্রবাহ কম ও শুকিয়ে যাওয়াসহ জেলে পরিবারের দুর্দিনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন।


আরো সংবাদ



premium cement