১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে দেখা মিলছে মৌসুমের পাকা আম

-

বৈশাখের ২০ দিন পার হতে না হতেই আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে দেখা মিলছে নতুন জাতের বারি-১১ পাকা আমের। বারোমাসি জাতের আম এটি। তবে একেবারে মৌসুমের গোড়াতে এটির আগমন ঘটায় যথেষ্ট উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মনে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মোহনপুর গজগজা পাড়ার রুবেলের হাত ধরে শহরের সদরঘাট পুরান বাজারে উঠে এসেছে মৌসুমের প্রথম পাকা আম। তার কাছ থেকে জানা গেল, এই আমের উৎসের ঠিকানা। মূলত নতুন জাতের এই আমের বাগান চাষি হচ্ছেন আমনুরা তেলিপাড়া এলাকার সফিকুল ইসলাম। এক সময়ে সৌদি প্রবাসী ওই ব্যক্তি তার কষ্টার্জিত টাকায় ভুল করে কিনে ফেলেন উঁচু এলাকার ধানি জমি। কিন্তু সেই জমিতে সেচের অভাবে ধান ফলানো যেত না। প্রবাস থেকে ফিরে এসে তাই তিনি বিপাকে পড়েন জমি নিয়ে। তখন তার ওই উঁচু জমিতে আমের বাগান করার পরিকল্পনা মাথায় আসে।
এ যেন এক নতুন গল্পের শুরু। বর্তমানে তার ৩০ বিঘার আম বাগানের মধ্যে ৫-৬ বিঘায় চাষ হচ্ছে বারি-১১ জাতের আমের। মাত্র চার বছর আগে ঢাকার কোনো এক নার্সারি থেকে তিনি সংগ্রহ করেছিলেন এই জাতটি। বারো মাসে তিন বার মুকুল এলেও ফলন দেয় দুই বার। বর্তমানে তার বাগানে এই জাতের গাছ আছে প্রায় ২৫০টি। মৌসুমে ৫০ মণের মতো আমের ফলন পাওয়া যায়। দামও থাকে ভালো। পাইকারিতেই প্রায় ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারেন। সুমিষ্ট জাতের এই আমটি নিয়ে রাজিয়া নার্সারির স্বত্বাধিকারী সফিকুল ইসলাম জানান, এক মাস আগে থেকেই তিনি এটি বাজারজাত করা শুরু করেছেন। সম্পূর্ণ বিষমুক্ত ও প্যাকেটজাত এই আম নিয়ে তার উচ্ছ্বাস প্রশান্তি এনে দেয় মনে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সিএসও) মুখলেসুর রহমান জানান, নিঃসন্দেহে ভালো জাতের আম এটি। বছরে তিন বার এটির ফলন হয়। তবে বাগান মালিকেরা দুই বার ফল আহরণ করতে পারেন। দামও ভালো পান। মূলত এটি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীন পাহাড়তলী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র চট্টগ্রাম থেকে ২০১৫ সালে উদ্ভাবিত একটি জাত। এটি একটি সম্ভাবনাময় আমের জাত। অফ সিজনে আমটিতে তুলনামূলকভাবে একটু বেশি আঁশ থাকলেও খেতে খুবই সুস্বাদু। বারো মাসি জাতের এই আমের জাত নিয়ে তিনি বেশ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আরো সংবাদ



premium cement