১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


পঞ্চগড়ে ‘বাউ’ মুরগি পালন করে খুশি খামারিরা

-

দেখতে হুবহু দেশী মুরগির মতো হলেও শারীরিক বৃদ্ধি ব্রয়লার বা বিদেশী যেকোনো জাতের মুরগির মতোই। এমন জাতের মুরগি উদ্ভাবন করেছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষকরা। এ মুরগিই এবার ছড়িয়ে গেছে সারা দেশে। এ মুরগি পালন করে সফল হয়েছেন অনেক খামারি। মাত্র ৪০-৪২ দিনে এ মুরগির ওজন এক কেজি ছাড়িয়ে যায়। সারা দেশের মতো পঞ্চগড়েও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ মুরগি পালন।
দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের সোনাপোতা গ্রামের বাউ মুরগির খামারি প্রদীপ রায় জানান, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) অর্থায়নে ও শার্পের সহযোগিতায় পরীক্ষামূলকভাবে খামার করার জন্য ১৫০টি মুরগি নিয়েছিলাম। মাত্র ৪৫ দিনেই প্রতিটি মুরগির গড় ওজন প্রায় এক কেজি থেকে সোয়া কেজি হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পাচ্ছি। বর্তমানে আমার খামারে প্রায় দুই হাজার বাউ মুরগি রয়েছে।
দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: সারাবনতহুরা বলেন, বাউ মুরগি পালন করে এই উপজেলার অনেকেই লাভের মুখ দেখেছেন। খেতেও দেশী মুরগির মতোই স্বাদ। এ মুরগিতে রোগবালাই খুবই কম হয়।
সেলফ-হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রামের (শার্প) প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোশারফ হোসেন বলেন, বাউ মুরগি এখন সবার কাছেই পরিচিত। খেতে সুস্বাদু, মৃত্যুহার কম ও উৎপাদন বেশি হওয়ার কারণেই খামারি ও ভোক্তাপর্যায়ে এর চাহিদা অনেক। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ মুরগি লালন-পালনের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement