নীলফামারীর কুমলাই নদী উদ্ধার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
- নীলফামারী প্রতিনিধি
- ০৩ মে ২০২৪, ০০:০৫
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত কুমলাই নদী থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নদীর জমি নদীর নামে অন্তর্ভুক্ত করা ও এর প্রবাহ সচল করাসহ ১০ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নীলফামারী প্রেস ক্লাব হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন, রিভারাইন পিপলের পরিচালক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ। তিনি বলেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ২০২৩ সালে বাংলাদেশের নদ-নদী: সংজ্ঞা ও সংখ্যা শীর্ষক একটি বই প্রকাশ করেছে। এই বইয়ে নীলফামারীতে ২৭টি নদীর কথা বলেছে। আমরা সরেজমিনে এ জেলায় ৩৪টি নদীর সন্ধান পেয়েছি। রংপুর বিভাগে যে নদীগুলো আছে তার মধ্যে সবচেয়ে সঙ্কটে থাকা নদীগুলোর একটি কুমলাই নদী। নদীটির উপর ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়েছে। কেবল তাই নয় নদীটিকে খুন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দীর্ঘদিনে নদীটির চরম সর্বনাশ করা হয়েছে। ২০১৯ সালে দেশের উচ্চ আদালত নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করে রায় দিয়েছে। জীবন্ত সত্তা কুমলাই নদী হত্যা করাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। বর্তমানে নদীখেকোদের কারণে নদীটি মরণাপন্ন। নদীটির স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বন্ধ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি মহিলা মার্কেট, সেতুবিহীন একাধিক পাকা-কাঁচা সড়ক, অনেক বাড়ি, অনেকগুলো দোকান, পুকুর এবং আবাদি জমি বানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমলাই নদী সুরক্ষা কমিটির সদস্যসচিব মমিনুর রহমান কাজল, শালকি নদী সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক আমিনুর রহমান, সদস্যসচিব জুলফিকার আলী ভুট্টো, চেকাডারা নদী সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক শাহজাহান আলী, নীলফামারী প্রেস ক্লাব সভাপতি মনজুরুল আলম সিয়াম প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা