২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


মুরাদনগরে আর্সি নদীতে বঁাঁধ নির্মাণ করে কৃষিজমির মাটি নিচ্ছে ইটভাটায়

-

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকবপুর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল গ্রামের মেটংঘর-শ্রীকাইল সড়কের পুরাতন ব্রিজসংলগ্ন আর্সি নদীতে বঁাঁধ নির্মাণ করে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাঁধ নির্মাণের ফলে চরম আকারে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি জমিতে সেচ কাজ। জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নিচ্ছে ক্ষমতাধর প্রভাবশালী একটি মহল। এতে করে হুমকিতে পড়েছে ওই ইউনিয়নসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অধিকাংশ ফসলি জমি। এত নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে নদীর স্বাভাবিক গতি পথ বন্ধ করে দেয়ায় উদ্বিগ্ন সচেতন মহল।
জানা যায়, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বি-বাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার একটি নদী আর্সি নদী। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি) পরিচিতি নাম্বার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল বুড়ি নদীর শাখা আর্সি নদীতে এক সময় যাত্রী ও মালবাহী শত শত নৌকা এবং ট্রলার চলাচল করত। বর্তমানে একটি মাটিখেকো সিন্ডিকেট নদীর মাঝে বাঁধ নির্মাণ করে। সেই বাঁধের ওপর দিয়ে প্রতিদিন ৮-১০টি ট্রাক্টর কৃষি জমির মাটি কেটে স্থানীয় সততা ব্রিকসের মাটি জোগান দিচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেটংঘর-শ্রীকাইল সড়কের পুরাতন ব্রিজসংলগ্ন সততা ব্রিক ফিল্ডে মাটির জোগান দিতে নদীর মাঝখান দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে কেটে নিচ্ছে সোনাকান্দা-ঘোড়াশাল বিলের শত শত হেক্টর কৃষি জমি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানায়, কৃষি কাজই আমাদের প্রধান পেশা। এ কাজ করেই আমরা জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু ভূমিখেকো ইটভাটার মালিকরা আমাদের এ রুটি-রুজিতে আঘাত করছে। এরা যেভাবে কৃষি জমি নষ্ট করছে, তাতে কিছুদিন পর আমরা আর জমি খুঁজে পাবো না। প্রশাসন যদি এখনই কোনো পদক্ষেপ না নেয় তাহলে আমাদের ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে সততা ইটভাটা মালিক সহিদ মিয়া বলেন, প্রশাসন আর্সি নদীর মধ্যে বাঁধ দেয়ার অনুমতি দিয়েছে কি না তা আমি জানি না। আমরা শুধু কাজী আলমের থেকে মাটি ক্রয় করি। বাঁধ দেয়ার বিষয়টি কাজী আলমই বিস্তারিত বলতে পারবে।
ইটভাটায় মাটি দেয়ার মালিক কাজী আলম বলেন, এ বাঁধটি কয়েক বছর থেকেই চলে আসছে। সততা ইটভাটায় আমি মাটি দিতাম কিন্তু দুই দিন থেকে মাটি দেয়া বন্ধ রয়েছে।
বাঁধ দেয়া অপরাধ কি না তা বুঝি না! বাঁধ দিয়ে ইটভাটায় মাটি দেই সেটাই বলতে পারব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাবেল খান পাপ্পু বলেন, এ ভাবে কৃষি জমি কেটে বিনষ্ট করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ফসলি জমি রক্ষার্থে প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে। সম্মিলিত ভাবে সবাইকে এগিয়ে আসার পাশাপাশি সচেতন হতে হবে। অন্যথায় আগামী ১৫/২০ বছর পর কৃষি কাজ করার জন্য অনেক মাঠে জমি পাওয়া যাবে না।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। খবর নিয়ে খুব দ্রুত নদীটি খুলে দেয়ার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
মাথাপিছু আয় এখন ২৭৮৪ মার্কিন ডলার : বিবিএস কৃষি খাতে ফলন বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার প্রযুক্তি সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী রিমার্ক-হারল্যানের নতুন পরিচালক ইউনিলিভারের সামি সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যে বার্তা দিচ্ছে চুয়াডাঙ্গায় বিএন‌পি নেতার লাশ মিল‌ল পাটক্ষেতে কক্সবাজারে ভোট শেষে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত ভোটার উপস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক : ওবায়দুল কাদের চকরিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন ফজলুল করিম এ বছর রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার পাচ্ছেন ২০ শিল্প প্রতিষ্ঠান জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারসহ ১১ জনের কারাদণ্ড শিয়ালের টানাহেঁচড়া দেখে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল এক নারী ও দুই শিশুর লাশ

সকল