১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
বেশির ভাগ জমিতে পাকেনি ধান

বন্যার আশঙ্কায় হাওরে ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দোয়ারাবাজারের কৃষকরা

-

বোরো ধান কাটার মধ্য দিয়ে বৈশাখ শুরু হয় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার অঞ্চলে। কিন্তু থেমে থেমে শিলাবৃষ্টি হচ্ছে। আকাশে কালো মেঘের ভারী বৃষ্টির আভাস দিচ্ছে। উজানে ভারতের মেঘালয়। সেখানেও শুরু হয়েছে বৃষ্টি। নদীতে আসতে শুরু করেছে উজানের পানি।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, উজান আর ভাটির বৃষ্টি মিলে মে মাসের তিন থেকে আট তারিখের মধ্যে দেশব্যাপী ব্যাপক কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা করা যাচ্ছে। সিলেট বিভাগে একনাগাড়ে খুব ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে সিলেট বিভাগের প্রতিটি হাওর পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যাওয়ার ৭০-৮০% আশঙ্কা রয়েছে। মে মাসের তিন তারিখের মধ্যেই হাওর এলাকার কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা সদরের কালিউড়ি হাওর, টেবলাই, লামাসানিয়া, পরম-শরিফপুর হাওর, বাংলাবাজার ইউনিয়নের পালকাপন, উরুরগাঁও, জাহাঙ্গীরগাঁও, ঘিলাতলী, উস্তুঙ্গেরগাঁও, নরসিংপুর ইউনিয়নের বৃটিশ, শ্রীপুর, শ্যামারগাঁও, তেরাপুর, বালিউড়া, নেতরছৈই, খাইরগাঁও-দ্বীনেরটুক, রহিমেরপাড়াসহ এলাকার ছোট-বড় হাওরগুলোতে এখনো ধান পাকেনি।
এ ছাড়াও বোগলাবাজার ইউনিয়ন, লক্ষ্মীপুর, সুরমা, দোহালিয়া, পান্ডারগাঁও, মান্নারগাঁওসহ ৯ টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ জমি এখনো ধান কাটার উপযোগী হয়নি। ফলে বন্যার শঙ্কায় ধান সংগ্রহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে উপজেলার কৃষকরা।

সদরের টেবলাই এলাকার কৃষক আবুল হাসেম জানান, দোয়ারা সদর ইউনিয়নে ধান চাষের বেশির ভাগ এলাকা হাওর নিচু। হাওরের পানি শুকানোর পর জমিকে ধান চাষের উপযোগী করা হয়। ফলে প্রতি বছর বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা নিয়ে ধান কাটেন কৃষকরা।
দোয়ারাবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মহসিন জানান, চলতি মৌসুমে দোয়ারাবাজারে ১২ হাজার ৯ শত হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। সেখান থেকে এ বছর ৬৪ হাজার ৫০০ মেট্টিকটন ধান উৎপাদিত হবে। ধানের বাজার দর হিসেবে প্রায় চার কোটি টাকার ধান এ বছর ঘরে তুলবে কৃষকরা। তবে উপজেলার হাওরগুলোর পানি দেরিতে নামায় ধানও রোপণ হয়েছে দেরিতে। ফলে মে মাস চলে এলেও হাওরের অর্ধেকের বেশি ধান পাকেনি। রোপণকৃত ধানগুলো ঘরে তুলতে পারলেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে।


আরো সংবাদ



premium cement