তীব্র তাপদাহে বেনাপোলে লোড-আনলোড অর্ধেকে নেমেছে
- মোয়াক্ষার হোসাইন বেনাপোল
- ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
গত কয়েক দিন যশোরের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। গত বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে করে শ্রমজীবী মানুষের নাকাল অবস্থা। এরই প্রভাব পড়েছে বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিকদের ওপর। শ্রমিকরা একটানা দীর্ঘ সময় কাজ করতে না পারায় লোড-আনলোড নেমেছে অর্ধেকে। এতে কমেছে শ্রমিকদের দৈনিক আয়ের পরিমাণ।
শ্রমিক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, টানা কয়েক দিন তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে পারছি না। দুপুর ১২টার পরে কাজ করছে না কেউ। এ জন্য আমাদের দৈনিক আয়ও কমে গেছে। স্বভাবিকভাবে প্রতিদিন একজন শ্রমিকের প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় হয়। কিন্তু এখন ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বেশি আয় করা সম্ভব হচ্ছে না।
ট্রাকচালক মিন্টু মিয়া বলেন, তীব্র তাপদাহে শ্রমিকরা আগের মতো লোড-আনলোড করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় বন্দরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, বেশি তাপমাত্রায় শ্রমিকরা বন্দরে শেড ইয়ার্ডে পণ্য উঠানামার কাজ স্বস্তিতে করতে পারছে না। আগে শ্রমিকরা প্রতিদিন প্রায় ২০টি ট্রাক লোড করতো। এখন ৮ থেকে ১০ টির বেশি লোড করতে পারছে না।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, বন্দরে লোড-আনলোডে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে তীব্র গরমে শ্রমিকদের পণ্য উঠানামার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তাদের স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, প্রতিদিন আমদানিকৃত পণ্যবাহী প্রায় ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ভারতে প্রবেশ করে প্রায় দেড়শ’ থেকে ২০০ টি ট্রাক। বাংলাদেশে পণ্য খালাস করে ভারতে ফেরত যায় প্রতিদিন প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০টি ট্রাক। সম্প্রতি তীব্র তাপদাহে লোড-আনলোড কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।