১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

লংগদুতে কাঠবিড়ালির অত্যাচারে অতিষ্ঠ কৃষক ও বাগান মালিকরা

-

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘কাঠবেড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও? গুড়-মুড়ি খাও? এই কবিতার উল্লেখিত কাঠবিড়ালিরা এখন শুধু এগুলাই খায় না, দিন দিন খেয়ে যাচ্ছে সাধারণ কৃষকদের স্বপ্নের ফসল।
রাঙ্গামাটি লংগদু উপজেলার গ্রামীণ ফলদ সম্পদ আম, কাঁঠাল, নারিকেল, পেঁপে ও পেয়ারা থেকে শুরু করে সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের লাখ লাখ টাকার ফলদ সম্পদ খেয়ে নষ্ট করে ফেলছে প্রতি ৩০ সেকেন্ডে প্রায় ১০০/১৫০ ফুট লাফিয়ে বেড়ানো প্রাণী কাঠবিড়ালি। প্রাণীটি স্থানীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাণী হিসেবে পরিচিত।
সারাবছরই গ্রামীণ জনপদের কৃষকসহ বেশির ভাগ মানুষের পুষ্টিকর ফল খাওয়া ও বাড়তি ফলন বিক্রি করে প্রচুর টাকা আয় করার নিশ্চিত সুযোগ থাকার পরও তা বানচাল করে দিচ্ছে কাঠবিড়ালি, বানর এবং হনুমান। তবে বেশির ভাগ সময়েই লোকসমাগম এলাকায় অন্যান্য প্রাণীদের ভয় থাকলেও কাঠবিড়ালি একদমই ভিতু নয়। গ্রামীণ অর্থনীতির আশানুরূপ উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্ষুদ্র এই প্রাণীটি।
রাঙ্গামাটির লংগদুর প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই কৃষক ও ফলদ বাগানের মালিকদের কাঠবিড়ালি প্রতিরোধের স্থানীয় কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এমন ক্ষতি নীরবে সহ্য করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। উপজেলার অর্ধশতাধিক কৃষকসহ গ্রামে বসবাসকারী বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে কথা বলে কাঠবিড়ালির বেপরোয়া এবং লাগামহীন ক্ষতিসাধনের কথা জানা গেছে।
কাঠবিড়ালির হাত থেকে ফলন রক্ষা করতে অনেকেই শব্দ বা ঘণ্টা বাজানোর মতো ফাঁদ ব্যবহার করছেন। প্রায় একযুগ ধরে কোনো ফাঁদই এখন কাজে আসছে না।

 


আরো সংবাদ



premium cement