ভুরুঙ্গামারীতে পাকা সড়কের কার্পেটিং তুলে নেয়ায় জনদুর্ভোগ

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে মেরামতের অজুহাতে একটি পাকা সড়ক থেকে কার্পেটিং (বিটুমিন মিশ্রিত পাথর) তুলে নেয়ায় দেড় মাস ধরে ওই সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) বক্তব্য তাদের অনুপস্থিতিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের কার্পেটিং তুলে অন্যত্র রেখেছে। এ ঘটনায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি এলজিইডি অফিসের সাথে পরামর্শ করে কাজ করা হয়েছে।
অপরদিকে ভুক্তভোগীরা বলছেন, এলজিইডির বক্তব্য হাস্যকর ও অযৌক্তিক। এলজিইডি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশেই সড়কের কার্পেটিং তুলে নেয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি লোক দেখানো।
ভুরুঙ্গামারী এলজিইডি দফতর সূত্রে জানা গেছে, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ৫৫ হাজার ২২৮ টাকা ব্যয়ে ভুরুঙ্গামারী বাসস্ট্যান্ড থেকে শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়ক পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। সুমন ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক পুনর্নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে।
কয়েকজন পথচারী ও অটোরিকশা চালক বলেন, প্রায় মাস দেড়েক আগে সড়ক মেরামতের অজুহাতে উপজেলার হাসপাতাল মোড় থেকে দাফাদার মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্কাভেটর দিয়ে তুলে ট্রাক্টরে করে নিয়ে যায়। এতে সড়ক দিয়ে চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তারা আরো বলেন, দেড় মাস অতিবাহিত হলেও কার্পেটিং তুলে নেয়া সড়ক মেরামতের কোনো খবর নাই।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুমন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী বেলাল হোসেন বলেন, হাসপাতাল মোড় থেকে দাফাদার মোড় পর্যন্ত সড়কের কার্পেটিং তুলে নিয়ে চলাচলের অনুপযোগী অন্য একটি সড়কে দেয়া হয়েছে। এক সড়কের কার্পেটিং তুলে অন্য সড়কে দেয়ার বিধান আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন অফিসের সাথে পরামর্শ করে কাজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে আরো জানতে চাওয়া হলে কথা বলা যাবে না বলে জানান তিনি।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের অনুপস্থিতিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্পেটিং তুলে অন্যত্র রেখেছে। কার্পেটিং অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার নিয়ম আছে কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন কার্পেটিং তুলে পুনরায় সড়কেই দেয়ার নিয়ম। ঠিকাদারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এ সংক্রান্ত বিষয়ে আরো জানতে চাওয়া হলে তিনি মুঠোফোনে উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।