ঐতিহ্যবাহী ফোড়কার পাড় পুকুরে মাছ ধরা উৎসব
- শরীয়তপুর প্রতিনিধি
- ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও শরীয়তপুরের ডামুড্যা ফোরকার পাড় দীঘিতে মাছ ধরার উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবকে ঘিরে ছিল ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। বিভিন্ন এলাকার শতাধিক জেলে গান ও ছন্দের তালে তালে মাছধরা উৎসবে মেতে উঠেন। জেলেদেরে মাছ ধরার এমন দৃশ্য উপভোগ করতে শনিবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফোরকার পাড় দীঘির চারপাশে ভিড় করে দুই হাজারেরও বেশি দর্শনার্থী ও ক্রেতা।
স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ও মাছধরা আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের শুতলকাঠি গ্রামের ফোরকার পাড় দীঘিতে প্রথমে এমন আয়োজন করে মাছ ধরার শুরুটা কে বা কারা করেছিলেন, তা কেউ সঠিকভাবে বলতে না পারলেও স্থানীয় বয়োজেষ্ঠ্যদের ভাষ্য মতে শতাধিক বছরের বেশি সময় ধরে এভাবেই এই দীঘিতে মাছ ধরা হয়। প্রতি বছরের মতো এ বছরও পুকুরের ৩২ জন মালিক ও মাছ ধরা আয়োজক কমিটি মাছ ধরার সময় নির্ধারণ হওয়ার পরে গত কয়েকদিন ধরে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১১১ জন জেলে আয়োজক কমিটির নিয়ম মেনে মাছ ধরার জন্য দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের টিকিট ক্রয় করেন। এরপর শনিবার সকাল থেকে একসাথে ঝাকি জালের মাধ্যমে মাছ ধরা শুরু করেন জেলেরা। মাছ ধরে বিক্রির এমন উৎসবকে কেন্দ্র করে পুকুরের এক প্রান্তে বসে অস্থায়ী মেলা।
৭০ ঊর্ধ্ব স্থানীয় ইয়াকুব আলী মিয়া বলেন, দীঘিটির বয়স ২০০ বছর। এ দীঘিতে আমার বাবা ও দাদা মাছ শিকার করেছেন। যৌবনে আমিও উৎসব করে মাছ শিকার করেছি।
মাছ ধরা আয়োজক কমিটির প্রধান বিল্লাল হোসেন বলেন, ফোড়কার পাড়ের এই দীঘি থেকে মাছ শিকারের বিষয়টি ২০০ বছরের ঐতিহ্য। আমরা প্রতি বছর একই দিনে, একই সময়ে মাছ ধরার আয়োজন করে থাকি। অনেক দূরদূরান্ত থেকে জেলে ও দর্শনার্থী এখানে আসেন। বর্তমান প্রজন্ম হয়তো কিছুদিন পড়ে ভুলেই যাবে পুকুর থেকে মাছ ধরা যায়। এভাবে মাছ শিকারের বিষয়টি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে বাঙালির ঐতিহ্যকে বয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী। আগামী বছর এই আয়োজনকে আরো সমৃদ্ধ করব ইনশা আল্লাহ।
কনেশ^র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বাচ্চু বলেন, ফোড়কার পাড়ের দীঘির মাছ শিকারের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখায় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আয়োজক কমিটিকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা