কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগে বিভেদ
- কাজী মোহাম্মদ ওমর ফারুক কালীগঞ্জ (গাজীপুর)
- ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৯
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালীগঞ্জ আওয়ামী লীগ তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন। একপক্ষ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আখতারউজ্জামান ও অপরপক্ষ সাবেক প্রতিমন্ত্রী, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি মেহের আফরোজ চুমকির অনুসারী। আরেকটি পক্ষ উভয় সংসদ সদস্যের নেতৃত্বের বাইরে থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বড়সড় একটি বলয় তৈরি করে নির্বাচনী মাঠে নেমেছে। ফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ বিভেদ এখন প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। উভয় সংসদ সদস্য তাদের প্রার্থী উভয় সংসদ সদস্য তাদের প্রার্থী সমর্থনের বিষয়টি অস্বীকার করলেও নেতাকর্মীরা বলছেন, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আখতারউজ্জামানের সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফি মেহেদী হাসান। মেহের আফরোজ চুমকির সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো: হাবিবুর রহমান ও অপর প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন (স্বপন) স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের একটি বৃহৎ অংশের সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আমজাদ হোসেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকির পরাজয়ের পর উপজেলা আওয়ামী লীগে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছে এমপি আখতারউজ্জামানের অনুসারীরা। এ নিয়ে দুই সংসদ সদস্যের অনুসারীদের মাঝে গত চার মাসে অর্ধশতাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় উভয়পক্ষের প্রায় সাড়ে তিনশ' নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এসব হামলা-মামলার ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে এ বিভেদ আরো বাড়বে বলে ধারণা করছেন নেতাকর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানায়, এ অবস্থায় কোনো সংসদ সদস্যেরই কোনো প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেয়া উচিত নয়। যদি তারা কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেয় তবে দলীয় এ বিভেদ আরো বাড়বে ও দল সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকার বলেন, যেহেতু দলীয়ভাবে কাউকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি, তাই দল থেকে কাউকে সমর্থন দেয়ার সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মেহের আফরোজ চুমকি এমপি নয়া দিগন্তকে বলেন, যেহেতু এটি দলীয় নির্বাচন নয় তাই দল কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। জনগণ যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই নির্বাচিত করবে। পরে এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারউজ্জামান এমপি নয়া দিগন্তকে বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধিতে সংসদ সদস্যদের কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ার সুযোগ নেই। তাই আমিও কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেইনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা