১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কিশোরগঞ্জের বৃহৎ হাওরে অনাবাদি জমিতে ঘাস চাষে লাভবান কৃষক

-

কিশোরগঞ্জের বৃহত্তর হাওরের নাম জোয়ানশাহী। বর্ষাপরবর্তী সময়ে এখানকার হাওরের একমাত্র ফসল হিসেবে কৃষকরা বেছে নেন বোরো আবাদ। দুর্গম এই হাওরে একসময়ে অর্ধেকের বেশি জমি পড়ে থাকত অনাবাদি হিসেবে। যুগ বদলে এখন সেই অনাবাদি জমিতে ঘাসের চাষ। আর ঘাস চাষ করেই এখানকার কৃষকরা লাভবান। এমনি তথ্য মিলে সরেজমিন হাওর থেকে অসংখ্য কৃষকের দেয়া তথ্যমতে।
কিশোরগঞ্জের প্রত্যন্ত দুর্গম জোয়ানশাহী হাওরটি নিকলী, বাজিতপুর, অষ্ট্রগ্রাম ও মিটামইন উপজেলার মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। দীর্ঘ ২০ কিলেমিাটার এরিয়া নিয়ে এই সর্ববৃহৎ হাওরে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশের বেশ কিছু কৃষকের নিজেদের জমি থাকায় এখানে এসে বাথান তৈরি করে বোরো আবাদ করে থাকেন। সাম্প্রতিক গরু মোটাতাজাকরণের উদ্দেশ্যে এই হাওরে ঘাসের ব্যাপক আবাদ করা হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা। তাদের ভাষ্যমতে এখানকার কিছু জমি খুব বেশি উঁচু থাকায় ধান আবাদে পোষায় না। তাই প্রাকৃতিক ঘাসের পরিচর্চা করে লাভবান অসংখ্য কৃষক। এই হাওরে ঘাস চাষের পাশাপাশি ভুট্টার আবাদ করে ধানের তুলনায় লাভবান বলে জানান কৃষকরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা মেলে নারীরাও গবাদিপশু মোটাতাজাকরণে সহযোগিতা করছেন। এখানকার ঘাস খেয়ে গরু, মহিষ সতেজ ও সবল আর রোগবালাইও তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। উৎকৃষ্ট মানের সুস্বাদু দুধ দিয়ে থাকে গাভীগুলো। এখানকার দুধের কদর রয়েছে বলে জানান কৃষক, এলাকাবাসী, মিষ্টি বিক্রেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
নিকলীর ছাতিরচরের বৃদ্ধ আলী হোসেন বলেন, জোয়ানশাহী হাওরের পাঁচ হাজার একর জমির মধ্যে দেড় হাজার একরে ঘাসের পরিচর্চা করা হচ্ছে। সেচ, নিরানি খরচ ও নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘাসই ঝুঁকিমুক্ত এবং অধিক লাভ। তাই এই এলাকার এক-তৃতীয়াংশ লোক গরু পালন করে বলেও তিনি দাবি করেন।
হাওরে অবস্থানকারী রেহেনা জানান, তিনি হাওরে সিজনাল গরু পালন করেন স্বামীর সাথে। পাশাপাশি জমির অতিরিক্ত ঘাস ও গোবর দিয়ে লাকড়ি তৈরি করে বিক্রি করে থাকেন। গরু পালনে প্রায় অর্ধেক লাভ বলে জানান তিনি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পাঁচ উপজেলার মধ্যবর্তী ২০ কিলোমিটার বৃহৎ এই জোয়ানশাহী হাওরে আনুমানিক পাঁচ লক্ষাধিক লোক গরু-মহিষ লালন পালন করে বলে তিনি ব্যক্ত করেন। এত বড় শিল্প বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি আছে কি না সন্দেহ পোষণ করে তিনি এই শিল্পের পরিচর্চা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে প্রসাশনের সুদৃষ্টিও কামনা করেন।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বলেন, চলতি মৌসুমেও জোয়ানশাহী হাওরে ধানের বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। তবে গত বছর ভালো ফলন ও দাম পাওয়ার পরেও অধিক জমিতে ঘাসের পরিচর্চা করে গবাদিপশু পালনে ব্যস্ত বাথানে কৃষকরা। জমির তারতম্য ভেদে কৃষকরা ঘাস পরিচর্চা করে গরু মোটাতাজাকরণে লাভের তথ্যেও তিনি যুক্তি তুলে ধরেন।


আরো সংবাদ



premium cement
নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিএনপির শ্রদ্ধা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে দূষণে শীর্ষে ঢাকা ‘মধ্যপ্রাচ্যকে নিজেদের অনুকূলে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল’ শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা নামলো ৮ ডিগ্রিতে তালিবান মন্ত্রীর হত্যাকাণ্ডে আইএস-এর সম্প্রসারণ নিয়ে উদ্বেগ ভারতীয় সংবিধান লঙ্ঘন করে মোদী সরকার খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে : ড. মাসুদ যুক্তরাষ্ট্র-চীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সমন্বয় গড়তে সংশোধিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করলো দেশ গড়ার দ্বিতীয় সুযোগ যেন কোনোভাবেই নষ্ট না হয় : আসিফ নজরুল লেককে ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালক করলেন ট্রাম্প এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হার পাকিস্তানের

সকল