১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নোয়াখালীতে তরমুজে পচন

ক্ষতিগ্রস্ত তরমুজ হাতে এক কৃষক : নয়া দিগন্ত -

নোয়াখালী উপকূলীয় অঞ্চলে শত শত একরের তরমুজ পচে গেছে। তার পাশাপাশি বাজার ক্রেতাশূন্য। ফলে পানির দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তরমুজ চাষিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে জেলার উপকূলীয় অঞ্চলে ৫৩২৭ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষে আবাদ করা হয়েছে। তার মধ্যে জেলা সদর উপজেলায় ৬০০ হেক্টর, কোম্পানীগঞ্জে ২০৬০, হাতিয়ায় ৯৫, সুবর্ণচরে ২১২০ ও কবিরহাটে ৪৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে।
জানা গেছে অধিকাংশ চাষি স্বাবলম্বী হওয়ার বুক ভরা আশা নিয়ে ধার-কর্জ করে তরমুজ চাষ করেছে। সম্প্রতি ভারী বৃষ্টি হলে জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে শত শত একর জমির তরমুজে পচন ধরে। এ ছাড়া বাজারে ক্রেতা কম থাকায় ন্যায্যমূল্য পাপ্রেণ না চাষিরা।
সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্কের তরমুজ চাষি আবদুল খালেক বলেন, চলতি বছরে হাওলাত ও কিস্তি নিয়ে এক একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আশা ছিল তরমুজ বিক্রি করে দেনা পরিশোধ করবো এবং অবশিষ্ট টাকা নিয়ে সংসার পরিচালনা করবো। ফলনও ভালো ছিল। কিন্তু দুই দফা ভারী বৃষ্টি হয়। এতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় তরমুজে পচন ধরে। উচ্চ জমিনে কিছু তরমুজ পাওয়া যায়। কিন্তু ক্রয় করার মতো উল্লেখ্যযোগ্য গ্রাহক নেই। এতে বলা যায় পানির দরে বিক্রি করতে হচ্ছে তরমুজ। উপজেলার চর জব্বার ইউনিয়নের কালা মিয়া বলেন, নিজের কিছু টাকা ছিল এবং ধার কর্জ করে তরমুজ চাষ করি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ তরমুজে পচন ধরেছে।
স্থানীয়রা জানান, চৈত্র মাসের শেষের দিকে তরমুজ কাটা শুরু হওয়ার কথা ছিল পুরোদমে। কিন্তু আগাম তরমুজ কাটায় তরমুজে মিষ্টি কম বিধায় বাজার ক্রেতাশূন্য।
এ দিকে ক্ষতিগ্রস্ত তরমুজ চাষিদের বিষয় সরকারিভাবে কোনো সাহায্য দেয়া হবে কি না জানতে নোয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শহীদুল হকের মোবাইলে ফোন দেয়া হয়। কিন্তু ফোন রিসিভ না হওয়ায় মতামত নেয়া যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement