নন্দীগ্রামে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদ ও নববর্ষের কেনাকাটা
- নন্দীগ্রাম (বগুড়া) সংবাদদাতা
- ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ পয়লা বৈশাখকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে অতি গরমেও ক্রেতাদের ভিড়ে জমে উঠেছে নন্দীগ্রামের ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলের বিপণিবিতানগুলো। সকাল থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে এ কেনাবেচা। ঈদ বাজারে বড় বড় মার্কেট ও বিপণি বিতানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
এদিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে শহরের বিভিন্ন বিপণিবিতান মার্কেটে সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। এখন বিপণিবিতানগুলোতে রাতে শোভা পাচ্ছে আলোকসজ্জা।
সরেজমিনে নন্দীগ্রাম পৌর শহরের জনতা মার্কেট, নিউ মার্কেট, বসুন্ধারা শপিং কমপ্লেক্স, খন্দকার মোখলেছুর রহমান সুপার মার্কেটে দেখা যায় অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন। বিশেষ করে পোশাক, জুতা ও প্রসাধনী পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। বড় বড় মার্কেটের মতো ভিড় দেখা যায় ফুটপাত ও ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতেও। তবে পণ্যের দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। ছেলেমেয়ে নিয়ে কাপড় কিনতে আসা গৃহিণী মরিয়ম বিবি বলেন, ঈদ উপলক্ষে ছেলেমেয়েদের জন্য কাপড় ও জুতা কিনতে এসেছি। নিজেদেরও কিছু কাপড় লাগবে। সব জিনিসের দাম অনেক বেশি। পছন্দসই জিনিস কিনতে পারছি না।
কাপড় কিনতে আসা জীবন শুকুমার সরকার বলেন, পয়লা বৈশাখে বাচ্চাদের নতুন পোশাক দিতে হয়। দোকানে এসে দেখছি যে ভিড়। দেখি কেনা যায় কি না। বসুন্ধারা শপিং আলামিন টেইলার্স স্টোরের মালিক আল আমিন বলেন, কাপড়ের দাম অনেক আগেই বেড়েছে। নতুন করে তেমন দাম বৃদ্ধি হয়নি। আমাদের কাছে অল্প ও বেশি সব ধরনের কাপড় আছে। আমরা থ্রি পিছ পাঁচশত থেকে তিন হাজার, শাড়ি পাঁচশত থেকে ছয় হাজার, শার্ট পিছ চারশত থেকে দুই হাজার, প্যান্ট পিছ চারশত থেকে দুই হাজার পাঁচশত টাকায় বিক্রি করছি।
আহসান হাবিব নামের এক ফুটপাতের দোকানের বিক্রেতা জানান, যাদের আয়-রোজগার কম তারাই মূলত ফুটপাতের দোকানগুলোতে কেনাকাটা করতে আসে। আমরাও তাদের কাছে সীমিত লাভে পণ্যে বিক্রি করে থাকি। কারণ আমরা চাই সবাই আনন্দের সাথে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ করুক। ফুটপাতের দোকানে ঈদে বিক্রিও ভালো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা