কুমিল্লা-বুড়িচং-মীরপুর সড়কে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা
- কাজী খোরশেদ আলম বুড়িচং(কুমিল্লা)
- ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
কুমিল্লা-বুড়িচং-মীরপুর এম এ গণি সড়কের পাশে অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বিভিন্নস্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে সড়কের পিচগুলো উঠে গিয়ে খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়। ফলে জনদুর্ভোগের অন্ত থাকে না।
সড়কের মধ্যে ছোট বড় গর্ত থাকায় এবং খানা খন্দকের কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুই উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের জন্য এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। তাই সড়কটি সব সময়ই ব্যস্ত থাকে। সড়কের পাশে নতুন স্থাপনা নির্মাণ করতে গিয়ে মাটি ভরাট করে। এতে বৃষ্টি পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের মধ্যেই পানি জমাটবদ্ধ হয়। গাড়ি চলাচল করার ফলে পানির মধ্যে থাকা সড়কের পিচগুলো গাড়ির চাকার ঘর্ষণে উঠে যাওয়ায় ছোট বড় গর্ত হয়।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের তদারকি না থাকায় ছোট ছোট গর্তগুলো বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে ভরাসার বাজারের পূর্বপাশে সোনার বাংলা কলেজের পশ্চিম পাশের এলাকায় সড়কটির দুই পাশে স্থাপন ও ব্যববায় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাশয়ে রূপ নেয়। এতে করে মোটরচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনার কবলে পতিত হয়।
বুড়িচং সদর বাজারের আনন্দ পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় গেট এলাকায় এবং ফারজানা স্যানেটারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এলাকাটি এমনিতে মোড় থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ তার সাথে রয়েছে জলাবদ্ধতা ও খানা-খন্দক। এখানে প্রায় সময় ছোট ছোট গাড়িগুলো উল্টে যায়।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ভিশন হসপিটাল ও কবরস্থান এলাকাটি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় এ জায়গাটি মেরামতের কাজ চলছে।
এই বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার বলেন, প্রত্যেক উপজেলাতে বিল্ডিংয়ের নকশা অনুমোদনের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। নকশা অনুমোদনের বিষয়টি তারাই ভালো বলতে পারবে। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের লোকজন ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারের দক্ষিণ পাশে কবরস্থান সংলগ্ন এলাকার সড়কের আপতকালীন মেরামতের কাজ করছে। ড্রেনের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের জন্য দুই কোটি ৭০ লাখ টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা করা হয়েছে বলে রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের এক্সিকিউটিভ চিফ ইঞ্জিনিয়ার আমাকে জানিয়েছে। প্রস্তাবনাটি পাস হলে ড্রেনসহ কাজ করা হবে।