১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ততা দোয়ারাবাজারের দরজিবাড়িতে

-

ঈদের প্রস্তুতি সব কিছুর আগে শুরু হয় দরজিবাড়িতে। ঈদের যত আগে আগে পোশাক তৈরির জন্য যাওয়া যায়, ততই দরজিরা পোশাকটি মনোযোগ দিয়ে বানান। ডিজাইনও পাওয়া যায় চাহিদা মতো।
এমন ধারণা থেকে মাপমতো পোশাক বানাতে আগ্রহী নারী-পুরুষ রোজার শুরুর দিকেই দরজিবাড়িতে হাজির হন। তাই বলে শুরুতেই শুধু দরজিবাড়িতে ভিড় এবং পরে ভিড় কমে বিষয়টি তা নয়। কারণ, নিয়মিত গ্রাহকদের ফেরান না দরজিরা। আর ঈদের সময় রোজগার বেশি হয় বলে গ্রাহকের হাতে পছন্দের পোশাকটি তুলে দিতে কর্মঘণ্টা বাড়ে দরজিবাড়িতে। রাখা হয় অতিরিক্ত কর্মচারী। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন দরজিবাড়ি ঘুরে সেই চিত্রই চোখে পড়েছে।
উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের সম্মার্ট টেইলার্স- এ দেখা হয় পাশ^বর্তী বোগলাবাজার ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু জাফরের সাথে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে তিনি দুই ছেলের পোশাক বানিয়েছেন। এখন এসেছেন মেয়ে ও তার নিজের জন্য কাপড় বানাতে। ঈদের এত আগে কাপড় বানানো সম্পর্কে জানতে চাইলে আবু জাফর বলেন, ঈদের যত আগেই কাপড় বানানো যায় ততই নতুন ডিজাইন, নতুন কাপড় ও ভালো কাপড় বানানো যায়। তাই ঈদের আগে আগেই ঝামেলা শেষ করে নিচ্ছি।
উপজেলা সদরে নাসিমা মহিলা ট্রেইলার্স নামে এক দরজি দোকানে গিয়ে দেখা যায়, দোকানের মালিকসহ আরো তিনজন কর্মচারী কাপড় সেলাইয়ের কাজ করছেন। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে বেশির ভাগ গ্রামের নারীরাই আসছেন ঈদের কাপড় তৈরিতে।
স্মার্ট টেইলার্সের প্রধান মাস্টার মঈন উদ্দিন বললেন, ঈদ উপলক্ষে অর্ডার তুলনামূলক বেশি। তাই অতিরিক্ত কর্মচারী কাজ করছে। তারা রাত ১২টা পর্যন্ত পোশাক বানানোর কাজ করছেন।
তবে ঈদ আসলে দরজির দোকানগুলোতে হ্যাঙ্গারে পোশাক ঝুলিয়ে রাখার যে দৃশ্য চোখের সামনে চলে আসতো, সে দৃশ্য এখন আর দোকানগুলোতে তেমন একটা দেখা যায় না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিক দরজি জানান, গ্রাহকরা অনেক খুঁজে নিজের জন্য নানান নকশার পোশাক বানান। সেই পোশাক ঝুলিয়ে রাখলে নকশা নকল হয়ে যায়। এ কারণে এখন পোশাক ঝুলিয়ে রাখার চল দিনদিন কমে যাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement