গোয়ালন্দে হালি পেঁয়াজের বাম্পার ফলন
- মেহেদুল হাসান আক্কাছ গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
- ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মুড়িকাটা পেঁয়াজের পাশাপাশি হালি পেঁয়াজেও কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। হালি পেঁয়াজ পরিবেশসম্মতভাবে রাখি মাল হিসেবে মজুদ রেখে বাজারজাত বা খাদ্য হিসেবে সারা বছর ব্যবহার করা যায়। উপজেলার পদ্মা নদীর চরাঞ্চলসহ প্রায় সব এলাকার আবাদি জমিতে কমবেশি হালি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। জমি থেকে পরিপক্ব লাল টকটকে পেঁয়াজ সংগ্রহকালে কৃষকদের চোখে মুখে আনন্দের হাসি দেখা যায়। তবে আগের তুলনায় বাজার দর কিছুটা কম পাওয়ায় অনেকটা নাখোশ তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট ১৭০ হেক্টর বা ১২৭৫ বিঘা জমিতে এ বছর হালি পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উজানচর ইউনিয়নে সর্বোচ্চ ৩৪৫ বিঘা জমিতে হালি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। কৃষকরা জানান, এ বছর তারা বিঘা প্রতি ৫০-৬০ মণ হালি পেঁয়াজ উৎপাদন পেয়েছেন। তবে বেড়িবাঁধবেষ্টিত এলাকার চেয়ে পদ্মা পাড়ের চরাঞ্চলের অধিকাংশ জমিতে এ পেঁয়াজ আবাদ বেশি ভালো হয়েছে। গোয়ালন্দে সাধারণত লালতীর ও তাহেরপুরী জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়ে থাকে।
সরেজমিনে উপজেলার উজানর, দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম ও ছোটভাকলা ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চলের দিগন্ত জোড়া মাঠ ঘুরে লাল টকটকে পেঁয়াজ তুলতে দেখা যায়। কৃষকরা ক্ষেতে বসে কেউ পেঁয়াজ তুলছেন, কেউবা ভ্যানে করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। কোথাও আবার বেপারীরা মাঠ থেকেই দাম দর মিটিয়ে কিনে নিচ্ছেন। কিষান কিষানীকে ক্ষেতে বসে কাঁচি, বটি, দা, ছুরি দিয়ে পেঁয়াজের গাছ ও শিকর কেটে পরিষ্কার করে রোদ্রে শুকিয়ে প্রক্রিয়া করতে দেখ যায়।
এ সময় দৌলতদিয়া যদু ফকির পাড়ার বারেক শেখ, আজাদ সরদারসহ অনেকে জানান, ভালো ফলন পেয়ে তারা খুশি। তবে আগের তুলনায় দাম ভালো পাচ্ছেন না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খোকন উজ্জামান জানান, গোয়ালন্দের কৃষকরা এখন আগের চেয়ে অনেক সচেতন। কৃষকরা সার বীজ পেয়ে উপযুক্ত সময়ে চাষ করতে পারায় ভালো ফলন পেয়েছেন। প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের আরো সচেতন ও অভিজ্ঞ করে নতুন প্রযুক্তির চাষাবাদ পদ্ধতির মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা